ঢাবি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ।
 
                            প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৪৫:২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শুরুতেই ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তিনি। তবে আবিদুল দাবি করেছেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন।
এ সময় কেন্দ্রের বাইরে আবিদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট প্রার্থনা এবং প্রচারপত্র বিতরণ করছিলেন। এতে কিছু নারী ভোটার বিরক্তি প্রকাশ করেন। তবে আবিদুল ও তার সমর্থকরা বলেন, তারা ভোট চাইছেন না, বরং প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনো প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট চাইতে পারবেন না এবং ভোট চলাকালীন কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো ভোটার স্লিপ বিতরণ করা যাবে না।
এ বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই কেন্দ্রে ঢুকেছি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা পুরোপুরি পরিকল্পিত এবং ভিত্তিহীন। চিফ রিটার্নিং অফিসার নিজে আমাকে বুথে নিয়ে গেছেন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রদর্শন করেছেন। এটি স্বাভাবিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ।” মঙ্গলবার সকাল ৮টার কিছু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স প্রদর্শন ও সিলগালা করা হয়।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি প্যানেলের মধ্যে তিন শতাধিক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন, বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।