এত বড় সংঘর্ষ চাঁদের ইতিহাসে বিরল! পৃথিবীর আকাশ থেকেও দেখা যেতে পারে বিস্ফোরণের আলো।
প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৫, ২:৪৭:১৯
মহাশূন্যে উত্তেজনার ছায়া
চাঁদে সরাসরি আঘাত হানতে পারে এমন একটি অ্যাস্টেরয়েড নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বৈজ্ঞানিক মহলে। নাসার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষদিকে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে পারে ‘RA-271X’ নামের বিশাল গ্রহাণুটি। এটি আকারে প্রায় একটি ছোট শহরের সমান।
আকাশে চোখ রাখুন, দেখা যেতে পারে বিস্ফোরণ!
নাসা সতর্ক করেছে, যদি গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন না হয়, তবে চাঁদের পৃষ্ঠে এটি সরাসরি আঘাত হানতে পারে। এতে সৃষ্টি হতে পারে এক ধরনের বিস্ফোরণ, যা পৃথিবী থেকেও খালি চোখে দেখা সম্ভব। এমন ঘটনা গত ৫০ বছরেও ঘটেনি। “এটি হতে পারে এক দৃশ্যমান মহাজাগতিক বিস্ফোরণ, যা আমাদের চাঁদকে সাময়িকভাবে আলোয় ভাসিয়ে দেবে” বললেন অধ্যাপক লুইস ম্যাকার্থি, ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির জ্যোতির্বিদ।
অ্যাস্টেরয়েড আঘাত মানেই কী বিপদ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, চাঁদে অ্যাস্টেরয়েডের আঘাত আমাদের সরাসরি ক্ষতি না করলেও এর প্রভাব হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী। চাঁদের গঠন, মাটির গর্ত এবং এমনকি এর কক্ষপথেও আংশিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। অনেক বিজ্ঞানী এই ঘটনাকে গবেষণার ‘গোল্ডেন চ্যান্স’ বলেও দেখছেন।
পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে আশঙ্কা?
চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ সম্পর্ক জটিল। তাই চাঁদের উপর বড় ধাক্কা আমাদের সামুদ্রিক জোয়ার বা উপগ্রহ যোগাযোগেও সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিছু গবেষক।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তুতি
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) এবং জাপান স্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সিও (JAXA) নাসার সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি নজরে রাখছে। ইতিমধ্যে একটি বিশেষ উপগ্রহ ‘লুনা-ট্র্যাক্স’ দিয়ে চাঁদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
“চাঁদের এই ধাক্কা হতে পারে আগামী প্রজন্মের জন্য মহাকাশ গবেষণার নতুন জানালা।” অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট মায়া কুরোটা, টোকিও ইউনিভার্সিটি
শেষ কথা:
এটা শুধু এক মহাজাগতিক আঘাত নয়, বরং এক অপার রহস্যের জানালা যেখানে মানুষ তার সীমাহীন কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে থাকবে আকাশের দিকে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে, তাহলে এই মহাজাগতিক ঘটনা হতে পারে ২০২৫ সালের সবচেয়ে আলোচিত দৃশ্য আর আমরা সবাই তার প্রত্যক্ষ দর্শক।