সিভিল সোসাইটির কাছে প্রগ্রেসিভ ভাবমূর্তি হারাচ্ছে এনসিপি; মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঝুঁকি
 
                            প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৩:২৬
Sarwar Tusher তুষারের সিভিল সোসাইটি নিয়ে আলচনার ক্রিটিকটি এনসিপির বন্ধুরা প্রতিপক্ষের লেখা মনে না করে বন্ধুর লেখা হিসেবেই পড়বেন।
কারণ আমি চাই এনসিপি পিনালিয়াসের 'মব-নির্ভর, প্রোপাগান্ডা-চালিত ও শত্রু নির্মূলের' রাজনীতি পরিহার করে আমাদের মতো সেন্ট্রিস্টদের মধ্যমপন্থী বয়ান, রাষ্ট্র গঠন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারায় ফিরে আসুক।
আমি একজন 'বোনাফাইড' সেন্ট্রিস্ট। আপনি আমার মাথায় বন্দুক ধরলেও আমার মুখ দিয়ে সেন্ট্রিজমের বাইরে কোনো কথা বের হবে না। আমার সেন্ট্রিজমের মূল নীতি হলো: বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি চরম বাম ও চরম ডান উভয় পক্ষের উদ্দেশ্যকে সৎ মনে করি। তবে, বর্তমান উন্নয়নের পর্যায়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য তাদের রাষ্ট্রভাবনা ক্ষতিকর বলে মনে করি। তাই, আমি তাদের রাজনীতিকে সমর্থন করি না, বরং সমালোচনা করি।
আমার বামপন্থীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক ঝগড়া আছে (মেঘমল্লারেরা কিউবা নিয়ে আমাকে কী পরিমাণ নোংরা ভাষায় গালি দিয়েছে, তা ফেসবুকের ইতিহাসে আছে)। একই সঙ্গে আমি সব সময়েই চরম ডানপন্থীদের সমালোচনা করেছি। টেকনিক্যালি, আমি নিজেও সিভিল সোসাইটির অংশ নই। তারা আমাকে নিয়ে অস্বস্তিতে থাকে, কারণ তারা আমাকে ডান ঘেঁষা মনে করে, যেখানে বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি মূলত বাম ঘেঁষা একটি সত্তা।
সেই আইডেন্টিটির উপরে দাঁড়ায় বলছি তুষারের এই আর্গুমেন্টে একটা মেজর কজেশন-কোরিলেশন প্রবলেম আছে। সিভিল সোসাইটি মোটেও বিএনপির বন্ধু নয়। বরং পলিটিক্সের রাইটওয়ার্ড শিফটের কারণে স্ট্যান্ডার্ড সিভিল সোসাইটির যে চাওয়া স্টেবিলিটি, একটা প্রগ্রেসিভ এজেন্ডা, ইনক্লুসিভনেস এই সব প্রশ্নে এনসিপিকে সিভিল সোসাইটির কাছে র্যাডিকালি রিগ্রেসিভ মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সমাজের ডান দিকে ঝুঁকে পড়া সত্ত্বেও বিএনপি তার নিজস্ব জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিচয়ের রাজনীতিতে যেসব মূল্যবোধ ধরে রেখেছে, সেগুলোর ভিত্তিতে এখন বিএনপিকে অনেক বেশি প্রগতিশীল মনে হচ্ছে। ফলে, সিভিল সোসাইটির কিছু এজেন্ডা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। (সম্প্রতি বদরুদ্দিন উমর সাহেবও একটি সাক্ষাৎকারে ঠিক একই কথা বলেছেন।)
তাই, কিছু নীতিগত প্রশ্নে দুই পক্ষকে একই সারিতে দেখতে পাওয়ায় তুষারেরা এখন তাদের মিত্র বানিয়ে ফেলেছে। বাস্তবে, সিভিল সোসাইটির বিএনপির প্রতি কোনো বিশেষ টান নেই, আর বিএনপিও সিভিল সোসাইটিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে না। মাহা মির্জা বা শহিদুল আলমের মতো ব্যক্তিত্বরা কখনোই বিএনপিকে সমর্থন দেবেন না। তবুও তুষার তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছেন এবং আমি জানি কেন। সে বিষয়ে পরে বলছি।।
অন্যদিকে, তুষারদের রাজনীতিকে পিনালিয়াসের চরম বিপ্লবী, সমাজকে চরম আদর্শ দিয়ে বিভাজন করা, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, এজেন্ডা-ভিত্তিক, মব ডাকানো । মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ওপর নির্ভরশীল, চরম প্রতিক্রিয়াশীল এবং শত্রু নির্মূলের রাজনীতি থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না। তুষাররা যতদিন এটি আলাদা করতে না পারবে, ততদিন সিভিল সোসাইটি তাদের শত্রু মনে করবে। কারণ, সিভিল সোসাইটি এসব নীতির ব্যাপারে আপস করবে না, ইতিহাসিক ভাবেও কখনো করেনি।
তুষারের বরং এই প্রশ্ন করা উচিত ছিল যে, যেসব সিভিল সোসাইটির সদস্যদের বাসায় আন্দোলনের সময় ছাত্র নেতারা আশ্রয় নিচ্ছিল, সেই একই লোকগুলো কেন এখন এনসিপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? শহিদুল ভাই বা রুশাদ ফারিদির মতো মানুষদের কথা ভাবুন, যারা ছাত্র নেতাদের আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন, কেন তারা আজ এনসিপির ওপর হতাশ? দায় কি সিভিল সোসাইটির, নাকি এনসিপির?
সিভিল সোসাইটির চাওয়াগুলো বাংলাদেশের শহুরে মধ্যবিত্তের চাওয়া থেকে খুব বেশি দূরের নয়। শহুরে মধ্যবিত্তের মতো তারাও চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক, কিন্তু তারা ৩২ নম্বর ভেঙে দেওয়াকে সমর্থন করে না। অনেকে যৌক্তিক কিছু কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করারও সমর্থন করে না। সেইটা এনসিপি কবিরা গুনাহ মনে করলেও, এইটাকে কবিরা গুনাহ মনে করাটাই এক্সট্রিমিজম।
সিভিল সোসাইটিও চায় দেশের সামগ্রিক সংস্কার হোক, কিন্তু গণপরিষদকে সমর্থন করে না কারণ এটি এমন এক 'ক্যান অফ ওয়ার্মস' খুলে দেবে, যেখান থেকে রাষ্ট্র হয়তো আর ফিরতে পারবে না।
পৃথিবীর অনেক দেশ গণপরিষদ গঠন করতে গিয়ে স্থিতিশীলতা হারিয়েছে। সিভিল সোসাইটি এই ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা চায় নির্বাচনের আগে সংস্কার হোক, কিন্তু তারা এই লেম ডাক , আমলা-নির্ভর, অক্ষম সরকারের অতিরিক্ত একদিনও বেশি ক্ষমতায় থাকাকে সমর্থন করে না।
আর সংস্কারের জন্যে সরকারের ঘনিষ্ঠতাঁর সুযোগ নিয়ে নির্বাচনকে হস্টেজ করা এনসিপির গ্রহণযোগ্যতা কোথায় নিয়েছে এনসিপি সেইটা নিজের বাবলের বাহিরে গিয়ে শুনে নাই।
আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে এনসিপি ও তার পূর্ববর্তী সত্তাগুলো ক্রমাগত 'মব ভায়োলেন্সকে' হয় প্রচার করেছে, নয়তো সমর্থন করেছে, অথবা নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। সিভিল সোসাইটি 'মব প্রেসারকে' রাজনীতির একটি বৈধ কৌশল হিসেবে দেখে না। হাসিনার পতনের সময় এটি বৈধ ছিল, কিন্তু জুলাই ২০২৫-এ এসে নয়।
সিভিল সোসাইটি রাজনৈতিক দলের অর্থায়নের সংস্কার চায়। কিন্তু এনসিপির প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ সংগ্রহের যেসব টুকরা-টাকরা ঘটনা সামনে আসছে, সেগুলোর ভিত্তিতে
এনসিপি কি বিএনপি আওয়ামি লিগের মত আরেকটি 'কালো টাকা-নির্ভর' রাজনৈতিক দল হচ্ছে এই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এনসিপিও তার আয়ের উৎস জানাতে রাজি নয়।
এই বিষয়গুলো শুধু সিভিল সোসাইটি নয়, শহুরে মধ্যবিত্তকেও এনসিপির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, এনসিপি শহুরে মধ্যবিত্তের মতামত নিয়েও মাথা ঘামাচ্ছে না।র এনসিপির অনলাইন প্রবাসী বিপ্লবী বাহিনী তো শহুরে মধ্যবিত্তকে 'শ্রেণী শত্রু' হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে।
আর তুষার যাদের সিভিল সোসাইটি বলছেন, তাদের মূল্যবোধ আসলে শহুরে মধ্যবিত্তের একটি বড় অংশের মূল্যবোধ। সুতরাং, শহুরে মধ্যবিত্তকে বিচ্ছিন্ন করে, পিনালিয়াসদের বাম-র্যাডিক্যাল, সমাজকে চরম মতাদর্শে ইনডকট্রিনেট করা, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, প্রপাগান্ডা ভিত্তিক রাজনৈতিক রেঠরিকের ওপর দাঁড়িয়ে এনসিপি কোন মূল্যবোধের রাজনীতি করবে তা সবাই দেখার অপেক্ষায় আছি।
ফলে এখন বিএনপি শুধু নয়, জামায়াতকেও এনসিপির চেয়ে বেশি প্রগ্রেসিভ মনে হচ্ছে।
কারন আমরা জানি না, এনসিপির ট্রু ভ্যালু কি।
তাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম ফেস @Hasnat Abdullah হাসনাত আব্দুল্লাহ এর এক পলিটিক্স, নাহিদ ইসলাম নাহিদের এক ধরনের পলিটিক্স, তুষারের এক ধরনের, আর Tasnim Jara তাসনিম জারার আরেক ধরনের। ফলে কোনটা এনসিপির প্রকৃত পরিচয় সেটা বোঝার উপায় নাই।
এখন এনসিপি বৈধভাবে বলতে পারে যে, একটি গণ-অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা দল হিসেবে এনসিপি এখনো একটি 'মেল্টিং পট', এখনো তার পরিচয় গঠিত হচ্ছে। কিন্তু ভয় হচ্ছে, যেহেতু বাংলাদেশে সবচেয়ে খারাপটাই বাস্তবে ঘটে, এবং এনসিপির জন্য শর্টকাট রাজনীতি সবচেয়ে খারাপ পথেই তাহলে আমাদের ভয় হয় যে, বহু দিকে রাস্তা খোলা রাখা এনসিপির সবচেয়ে খারাপ দিকটাই বাস্তব হবে।
আর সিভিল সোসাইটিকে আক্রমণ করার মাধ্যমে তুষার নিজেও সিগন্যাল দিচ্ছেন সম্পূর্ণ লিবারেল ভ্যালু ও লাইফস্টাইল যাপন করা তুষারের পলিটিকাল ডিরেকশন সেন্ট্রিজম নয়, হবে বরং ফার রাইটকে তুষ্ট করা রাজনীতি। এন্ড দে হ্যাব প্রব্লেম উইথ দ্যাট।
তাহলে কেন সিভিল সোসাইটি এনসিপির উপর ভরসা করছে না?
প্রশ্নটা অনিশ্চয়তার।
সিভিল সোসাইটি বিএনপি-জামায়াত উভয়কেই গ্রহণ করতে পারবে, কারণ তারা জানে এই দলগুলো কোন প্যাকেজ'টি দিচ্ছে। কিন্তু তারা এখনো এনসিপিকে গ্রহণ করতে পারছে না, কারণ এনসিপির পিনালিয়াসের বয়ানের ওপর দাঁড়ানো 'বিপ্লব নয়তো রক্ত' এই স্লোগান এই দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে, তার কোনো ভিজুয়ালাইজেশান দেখতে পাচ্ছে না। অনেকেই এনসিপির মধ্যে আওয়ামি লিগের মত চেতনা ব্যবসার ছায়া দেখতে পাচ্ছে।
এনসিপি নিজেকে খুবই ইউটলিটেরিয়ান রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রমাণ করেছে , তারা খুব ফ্লুইড এবং তাদের অবস্থান পালটায় (এইটা আমি সেন্ত্রিস্ট হিসেবে পছন্দ করি কিন্তু নতুন দল হিসেবে এইটার কারনে এনসিপি কোন ভ্যালু-বেইজড পলিটিক্স দেখাইতে পারতেছেনা। ফলে এনসিপি ভবিষ্যতে ডান দিকে ঝুঁকে পড়া বাংলাদেশে আরও চরম ডানে যাবে এই ভয় খুবই যৌক্তিক। এই ভয়ের মধ্যে তুষারের আক্রমণের লক্ষ্য বলে দিচ্ছে আপনি শত্রু মিত্র নির্ধারণ করে ফেলেছেন ।
আর আপনাদের রাজনীতি খুবই স্পষ্ট যারা আপনাদের সমালোচনা করছে, তাদের প্রথমে বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করছেন। আর যাদের ইতিহাসের কারণে বিএনপি ট্যাগ দিতে পারছেন না, তাদেরকে ন সম্পূর্ণ সিভিল সোসাইটি বিএনপি হয়ে গেছে বলে একটি বয়ান তৈরি ডিলিজিটিমাইজেশানের চেষ্টা করতেছেন ।
তুষার দেখতে পাচ্ছেন না সিভিল সোসাইটি আর আরবান মিডল ক্লাস বিএনপির উপর বিরক্ত হয়ে ক্রমাগত এনসিপির উপর নির্ভর করতে চাইছে, কিন্তু দেখতে পাচ্ছে যে বিএনপি তাদের ভ্যালু সিস্টেমের সাথে এনসিপির চেয়ে অনেক বেশি এলাইন্ড।
সিভিল সোসাইটি একটা সিঁড়ি, যেটা না পারিয়ে আরবান মিডল ক্লাসকে এক্সেস করা যায় না।
বিএনপি অনেক ধাক্কা খেয়ে সেটা বুঝতে পারছে।
আর এনসিপি যদি মনে করে, শহুরে মধ্যবিত্তকে তাদের দরকার নেই, তারা বাম র্যাডিকালিজম থেকে শেখা পিনালিয়াসের মব ডাকানো, প্রপাগান্ডা-নির্ভর, শত্রু নির্মূলের 'ন্যারেটিভ প্রোপাগান্ডার' রাজনীতি করবে, সেটা তারা করতেই পারে। কারণ তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তাও বেশি এবং সমাজের ডান দিকে ঝুঁকে পড়ায় ভোটে জেতার সম্ভাবনাও বেশি। তাই, এনসিপি সেই দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমরা কয় জন, সেন্ট্রিস্ট ভ্যালু থেকে আসা সমাজের হারমনি ধংস করা পলিটিক্সকে ক্রিটিক করবো।
ফিল প্রিয় তুষার ফ্রি টু সে সিভিল সোসাইটি বিএনপি হয়ে গেছে।
যাদের বিএনপির সাথে উঠা-বসা আছে তাদেরকে বিএনপি হিসেবেই ট্যাগ দিতে থাকেন। আমি বুঝতে পারি আপনি যদি খুব্ধ হন যে, বিএনপি যে রিফরমের ক্রিটিকাল ইস্যু কোন টাই গ্রহণ করে নাই, এমন কি নারী সিটের প্রশ্নেও কোন ছাড় দেয় নাই, তাকে কেন সিভিল সোসাইটির প্রগ্রেসিভ মনে হবে। আই হোপ আপনি বুঝতেছেন, আমি পরিচয়ের রাজনীতির কথা বলছি, নট ইলেকটোরাল পলিটিক্স । সিভিল সোসাইটির মাইন্ড সেটের কথা বলছি।
আর আপনি যাদের সিভিল সোসাইটি বলছেন, তারা আরবান মিডল ক্লাসের বাহিরের কিছু না।
তারা স্টেবিলিটি চায়, সমাজে একটা আরবান মিডল ক্লাসের মধ্যবিত্ত চিন্তাকে প্রতিনিধিত্ব করা সেন্ট্রিস্ট এজেন্ডা চায়, ভারতীয় দাসত্বমুক্ত পলিটিক্স চায়, ইন্সটিটিউশনাল রিফর্ম চায়, সংঘাতমুখর পলিটিক্স থেকে একটা কম্পেটিটিভ আইডিয়ার দ্বন্দ্ব দেখতে চায়।
সিভিল সোসাইটি আপনারা এখনো বিশ্বাস করাইতে পারেন নাই যে, রাজনৈতিকভাবে লাভজনক কৌশলগত এজেন্ডা না থাকলে এনসিপি এই মূল্যবোধগুলোতে বিশ্বাস করে।
এনসিপির ওপর এই বিশ্বাস না থাকার কারণ এটা নয় যে সিভিল সোসাইটি বিএনপি হয়ে গেছে এর কারণ হলো সিভিল সোসাইটি কমন সেন্স দিয়ে চিন্তা করতে পারে, তারা নির্বোধ নয়।
---
এইটা লেজিটিমেট ক্রিটিসিজম যে জিয়া হাসান বিএনপিকে যথেষ্ট ক্রিটিক করে না। তার কারণ, বিএনপি ইতিমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে তাদেরকে ভালোবাসা দিয়ে ভালো করা যায় না। বিএনপি ধীরে ধীরে আরেকটা মিনি আওয়ামী লীগে পরিণত হওয়ার পথে এগোচ্ছে। ।
ফলে বিএনপির সাথে আমার কোনো নেগোসিয়েশন নেই। কারন তারা আমাদের আমাকে অন্তত আমলে নেয় না। তাই বিএনপির সাথে লড়াই হবে নির্বাচনের পর।
কিন্তু এনসিপি তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও দিক নির্মাণ করছে। এই সময়ের ছোট্ট ভুলও অনেক বড় পরিণতি নিয়ে আসতে পারে, অথচ আপনারা বড় বড় ভুল করছেন। আপনারা ন্যারেটিভ স্পেসে একটা বড় ফাঁদে পড়ে গেছেন এটা হলো পপুলিজমের ফাঁদ।
কেউ হয়তো আপনাদের বলেনি যে 'পাবলিক ইলিউশন বায়াস' নামের একটি প্রবণতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্সট্রিম ভিউগুলো জনপ্রিয় বলে মনে হয়। কারণ, তারা বেশি সক্রিয় থাকে। কিন্তু সেন্ট্রিস্টরা, যারা আসলে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা মন্তব্য বা রিঅ্যাক্ট করে না বলে তাদের প্রভাব কম দেখা যায়।
ফলে আপনাদের কাছে যে এক্সট্রিম ভিউ জনপ্রিয় মনে হচ্ছে, সেটা সেন্ট্রিস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে আসলে বাতিল হয়ে যাওয়া একটি আইডিয়া।
তাই এই আশায় আমি সমালোচনা করছি যে, আপনারা আবার সেন্ট্রিস্ট রাজনীতিতে ফিরবেন। আমি বিশ্বাস করি, এনসিপির প্রকৃত সম্ভাবনা সেন্ট্রিস্ট পলিটিক্সেই ।
জিয়া হাসান ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত