গোপন সংবাদের ঘাটতি ও গোয়েন্দা সমন্বয়ের অভাবেই বড় ব্যর্থতা
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ১১:৫৬:৪৮
সাম্প্রতিক একটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাসীরুদ্দীন আহমেদ বলেন, “যদি ডিজিএফআইর (Directorate General of Forces Intelligence) একটি সংযুক্ত দল সেখানে থাকত, তাহলে হয়তো ফলাফল একেবারেই ভিন্ন হতো।”
তিনি আরও বলেন,
“ডিজিএফআই’র গোয়েন্দা সক্ষমতা ও তথ্য বিশ্লেষণ শক্তি অত্যন্ত কার্যকর। এই সংস্থাটি অনেক সময় এমন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় যা অন্যদের পক্ষে সম্ভব নয়। অভিযানে তাদের অন্তর্ভুক্তি না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক।”
সূত্র জানায়, অভিযানে জড়িত বাহিনী কেবল নিজস্ব তথ্যের ওপর নির্ভর করে অভিযান পরিচালনা করেছিল, যার ফলে বড়সড় সাফল্য আসেনি। তথ্যের ঘাটতির কারণে ভুল লক্ষ্য নির্ধারণ ও মাঠপর্যায়ে সংকট দেখা দেয়। নাসীরুদ্দীন বলেন, “একটা সফল অভিযান কেবল বাহিনীর সংখ্যা বা অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভর করে না, বরং সঠিক গোয়েন্দা তথ্য ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান বাস্তবতায় তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযানে ডিজিএফআইসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপারেশন ব্যর্থ হতে পারে।
অভিযানের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় বাড়াতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিএফআইর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে গুরুত্ব দিয়ে কৌশল নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।