ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে সময়সীমা জরুরি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নের
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ১১:১০:৩০
সাকি কী বললেন?
ঢাকায় আয়োজিত এক গণতান্ত্রিক সংস্কার বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় জোনায়েদ সাকি বলেন,
“আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, তার পেছনে আছে একটি মৌলিক যুক্তি ক্ষমতা যেন নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছে, কেউ সরাসরি সম্মতি দিয়েছে, কেউ নীতিগতভাবে একমত।” তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, দীর্ঘদিন একই ব্যক্তি বা দল ক্ষমতায় থাকলে স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাব দেখা দেয়। ১০ বছরের সীমা রাজনৈতিক চর্চায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।”
রাজনৈতিক দলের অবস্থান
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেওয়া কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এই প্রস্তাবকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের অংশ হিসেবে স্বাগত জানান। তারা বলেন, সরকারের পরিবর্তনের সুযোগ তৈরিতে সময়সীমা থাকা উচিত। তবে কিছু রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক মত দিয়েছেন, বিষয়টি জনগণের ভোটাধিকার ও পছন্দের ওপর আস্থা না রাখার নামান্তর হতে পারে। তাই সর্বসম্মত সংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, এই প্রস্তাব রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নের একটি সাহসী পদক্ষেপ। তবে এটি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং কার্যকর সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
জোনায়েদ সাকি জানান, এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ের সংলাপে উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা চাই, জনগণের মতামত নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হোক।”
প্রধানমন্ত্রিত্বে সময়সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কারের একটি নতুন ধারার সূচনা করতে পারে। জোনায়েদ সাকির বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো ধীরে ধীরে এই বিতর্কে একটি যৌক্তিক অবস্থানে পৌঁছাতে পারে—যা ভবিষ্যতে দেশের গণতন্ত্রকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সহায়ক হতে পারে।