ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জিরো টলারেন্সে; মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী ও র্যাব পুলিশের যৌথ নজরদারি
প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২৫, ৪:১৯:৫২
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিক নির্দেশনা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনী সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী মাঠে থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়:
১. ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে থাকবে পুলিশ ও আনসার।
২. বাইরে টহল দেবে র্যাব ও বিজিবি।
৩. জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকবে সেনাবাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, “নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে, আইনানুগভাবে তা দমন করা হবে।”
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি:
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্র বহন, সভা-সমাবেশ এবং অপপ্রচার রোধে কঠোর নজরদারি থাকবে। সাইবার নিরাপত্তা টিম গঠন করে অনলাইনে গুজব, ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচার মনিটরিং করা হবে।
ভোটারদের সচেতনতায় প্রচারণা:
সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে মাইকিং, পোস্টার, অনলাইন প্রচারণা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
বিরোধীদের সতর্কবার্তা:
সরকারি পর্যায় থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, নির্বাচন বানচালের যে কোনো অপচেষ্টা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিরোধীদলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যেন গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মত:
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবার আগের চেয়ে ব্যাপক ও পেশাদারভাবে সাজানো হয়েছে। তবে রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে নিরাপত্তা পরিকল্পনাও ব্যর্থ হতে পারে।