ইসলামী ছাত্রশিবিরের পরিচয় দিয়ে আলোচনায় আসা শিক্ষার্থী এবার নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে ফের আলোচনায়
 
                            প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:০০:৪৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন আলোচিত শিক্ষার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পরিচয় দেওয়ার পর থেকেই তিনি শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন। এবার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়ে আবারও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন সাদিক কায়েম। যদিও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের তালিকায় নাম ছিল না, তবুও নিয়মিত তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে দৃশ্যমান উপস্থিতি রেখেছেন। গতবছর বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি চোখে পড়ে।
শিবির পরিচয়ে আলোচনায়
২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাবি ক্যাম্পাসে ১০ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন সাদিক কায়েম। বৈঠক শেষে নিজেকে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পরিচয় দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক যুগ পর ঢাবি ক্যাম্পাসে সরব উপস্থিতি জানায় ইসলামী ছাত্রশিবির।
শিক্ষাজীবন ও ব্যক্তিগত পটভূমি
সাদিক কায়েম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। খাগড়াছড়ি শহরে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষার্থীর বাবা কাপড় ব্যবসায়ী। ছোট ভাইও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৭৮ পেয়ে বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন এবং স্নাতকোত্তরেও ভালো ফল করেন।
সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা
শিক্ষাজীবনে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি, হিল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, সেভ ইয়ুথ–স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্সের ফ্যাসিলিটেটর, সূর্যসেন হল অ্যাসোসিয়েশন অব পলিটিক্যাল সায়েন্সের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নতুন দায়িত্ব
ডাকসুর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, সাদিক কায়েম তার সংস্কারমুখী অবস্থান বাস্তবায়নে কাজ করবেন। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন পর ঢাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।