নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ভোটপ্রক্রিয়ায় অস্থিরতা, আরপিও চূড়ান্তে দেরি
প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৯:২৮
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনা সত্ত্বেও আরপিও সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়নি। আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল—রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বিবিধ বিষয়াদি। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার কমিশনের সভায় তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, যার মধ্যে রাজনৈতিক দল ও দল আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। আরপিও সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং তা আগামী সপ্তাহে চলবে।
আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ প্রায় তিন ডজন ছোটখাটো সংশোধন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি আচরণবিধিতে এআই সম্পর্কিত অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেগুলো আরপিওতে যুক্ত করা হতে পারে।
আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিলে তা সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে সংশোধিত আরপিও অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।