সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ধারণ করবে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের অবস্থান ইতোমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৪:০০
আগামী নির্বাচনে ভোট কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, সে বিষয়ে জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও কৌতূহল রয়েছে। কারণ নির্বাচনের গুণগত মানের ওপর নির্ভর করবে বিদেশি সরকার ও সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। নির্বাচন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক আগ্রহের কারণে প্রতিবছর নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়।
সাবেক এক কূটনীতিক জানান, “যেসব দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল এবং নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেখানে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। বাংলাদেশও সেই তালিকায় পড়ায় আমাদের বিদেশি পর্যবেক্ষকদের গ্রহণ করতে হয়।”
তাঁর মতে, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হয় না, কারণ তাদের প্রক্রিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক মতামত দেশের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়।
কারা পাঠায় পর্যবেক্ষক?
প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘ, ওআইসি, সার্ক ও কমনওয়েলথের মতো সংস্থা বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠায়। এবারের নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে তাদের ঢাকা সফর আশা করা হচ্ছে।
ইসির ভূমিকা ও নীতিমালা
বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের মাধ্যমে কাজ করেন এবং কমিশনের প্রণীত নীতিমালার আওতায় থাকেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা, লজিস্টিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে থাকে।
রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক
সাবেক কূটনীতিকরা মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক মন্তব্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।