উত্তরার দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনার সময় ক্লাসে ছিলেন প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী, নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের দাবি কর্তৃপক্ষের
প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২২:৫৯
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের সময় ভবনটিতে প্রায় ৫৯০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খাঁন। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ এয়ার স্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যক্ষ বলেন, “প্রতিদিন আমাদের ক্যাম্পাসে ৮০-৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। সেই হিসেবে সেদিনও ভবনে প্রায় ৫৯০ জন শিক্ষার্থী ছিল। ঘটনার পরপরই আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অবস্থান নিশ্চিত করার কাজ শুরু করি।”
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা হয়নি জরুরি প্রয়োজনে:
অধ্যক্ষ আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সম্ভব হয়নি। “তৎক্ষণাৎ আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেওয়া, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা,” বলেন তিনি।
ভবনের নিরাপত্তা ও অনুমোদন নিয়ে ব্যাখ্যা:
ভবনের নকশা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নে অধ্যক্ষ বলেন, ছোট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই গ্রিল দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, “ভবনটি রাজউক ও বেবিচকের অনুমোদন অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে। শুধু মাইলস্টোন নয়, পুরো এলাকায় অনেক হাইরাইজ ভবন রয়েছে।”
অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, মেট্রোরেল ভবনসহ আশপাশের সব ভবন মাইলস্টোন ভবনের চেয়ে উঁচু। “আমাদের ভবন আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে,” তিনি যোগ করেন।
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের দাবি:
অধ্যক্ষ জানান, “এই ভবনে ৭৩৮ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করে। দুর্ঘটনার দিন সেই তালিকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি আমরা।”
এদিকে তদন্ত কমিশনের একাধিক সদস্য ভবন নির্মাণ ও ফ্লাইং জোনের নিরাপত্তা বিষয়েও পর্যালোচনা করছে। তদন্তে ভবন অনুমোদনের যথার্থতা নিরূপণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।