সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ, মানসিক কাউন্সেলিং ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নিরসনের ওপর জোর
প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯:৫৫
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা পরিস্থিতি দেখতে শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সেখানে তিনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসিরউদ্দিনের কাছ থেকে চিকিৎসার সর্বশেষ তথ্য ও প্রয়োজনীয়তার বিবরণ শুনেন এবং হাসপাতালে অবস্থানরত রোগীদের চিকিৎসাসেবা পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা:
সকল সরঞ্জাম সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে, দু-একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র সিঙ্গাপুর থেকে আগত বিদেশি চিকিৎসকদল সঙ্গে এনেছেন। ৪ জন ক্রিটিক্যাল, ৯ জন সিভিয়ার, ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগী রয়েছেন। এই ক্যাটাগরি সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।
রোগীদের সর্বোচ্চ সেবায় আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম চিকিৎসা প্রদান করছে।
জরুরি সেবায় ঘাটতির স্বীকৃতি:
বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীদের দ্রুত স্থানান্তরের সময় আম্বুলেন্স সংকট ও সমন্বয়ের ঘাটতি চোখে পড়ে। এছাড়া দেহাবশেষের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের কারণে মৃত্যু সংখ্যায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট করণীয় প্রস্তাব চেয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।
মানসিক পুনর্বাসনে জোর:
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আহত ও নিহতদের পরিবার, আহত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুলের সব সদস্যকে কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ট্রমা কাটিয়ে উঠতে মানসিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন।
পরিজনদের সেবায় যত্নবান হওয়ার আহ্বান:
হাসপাতালে অবস্থানরত আহতদের স্বজনদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও যত্ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ইউনূস।
তিনি বলেন,
আমরা প্রতিটি রোগীর সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকল স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসক ও বিদেশি চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।