বাংলার গ্রামীণ রান্নার মধুর মেলবন্ধন কই মাছের নরম মাংস আর কচু শাকের মাটির গন্ধ একসাথে যখন প্লেটে আসে, তখন শুধু স্বাদই নয়, স্মৃতি ও আবেগও জাগে।
 
                            প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯:২৮
বাংলার নদী, পুকুর ও জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো কই মাছের মাংসের নরমতা এবং কচু শাকের হালকা মাটির সুবাস একসাথে মেলে যখন রান্নার সময়, তখন স্বাদে আসে এক অনন্য তাজা ছোঁয়া। বিশেষজ্ঞ শেফরা বলছেন, কই মাছ ও কচু শাকের সংমিশ্রণে রান্না করা হলে প্রাকৃতিক সুগন্ধ ও ভিটামিনের পরিপূর্ণতা বজায় থাকে। রান্নার ক্ষেত্রে হালকা হলুদ, লবণ ও মরিচের ব্যবহারে স্বাদ আরও উজ্জ্বল হয়।
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী:
মাছ রান্না করা:
কই মাছকে ভালোভাবে ধুয়ে, লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সিদ্ধ করুন বা ভাপা দিন। মাছ সম্পূর্ণ নরম হয়ে গেলে আলাদা করে ঠান্ডা হতে দিন।
শাক ভাজা:
কচু শাক ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে হালকা ভেজে নিন, নরম হওয়া পর্যন্ত।
ভর্তার জন্য সব উপকরণ মেশানো:
একটি বড় বাটিতে সিদ্ধ কই মাছ, ভাজা কচু শাক, পেঁয়াজ কুচি, রসুন ও কাঁচা লঙ্কা একসাথে নিয়ে ভালভাবে মেশান। আঙুল বা পেস্টার দিয়ে একটু মশলা ভর্তার মতো মিহি করুন।
শেষ ধাপ:
লবণ ঠিকমতো দিয়ে মেশান। পরে সর্ষে তেল ঢেলে আবার নাড়ুন। ধনে পাতা কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।
পরিবেশন:
ভর্তাটি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে সুস্বাদু। চাইলে ভর্তার সঙ্গে সামান্য শুকনো লঙ্কা বা বাটা মরিচ দিয়ে আরও তীক্ষ্ণ স্বাদ আনা যায়।
"কই মাছ আর কচু শাকের ভর্তা শুধু স্বাদ নয়, এটি বাংলার নদী ও গ্রামীণ জীবনের এক অম্লান স্মৃতি।"