ইলিশের মরসুমে বাজার ভরপুর, কিন্তু দ্রুতগামী জীবনযাপনে অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, অনলাইনে ইলিশ কেনা কতটা নিরাপদ?
প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১:৩২:০৩
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ, যার প্রতি মানুষের বিশেষ আবেগ ও আকর্ষণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইলিশের প্রচুর চাহিদা। কিন্তু কি করে নিশ্চিত হওয়া যাবে মাছের গুণগত মান, সতেজতা আর নিরাপত্তা?
অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এখন ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ সরবরাহ করছে। গ্রাহকের বাড়িতে ডেলিভারির সুবিধা, সময় বাঁচানো সবকিছুই অনলাইনের পক্ষে। তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মাছ কেনার সময় সতেজতা ও সঠিক স্টোরেজ নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইন দোকানের রিভিউ ও সাপ্লায়ারের বিশ্বাসযোগ্যতা খতিয়ে দেখা জরুরি।
মান নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন
মৎস বিজ্ঞানী ড. আফসানা জামান বলেন, “ইলিশের মতো ডেলিকেট মাছের ক্ষেত্রে তাজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে যখন মাছ ডেলিভারি হয়, তখন ফ্রিজিং, আইস প্যাকিং, দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা না থাকলে পণ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে অনলাইন ফুড সেক্টরে মান নিয়ন্ত্রণে আইএসও স্ট্যান্ডার্ডের মতো কঠোর নিয়ম চালু আছে, যা আমাদের দেশেও প্রয়োজন।”
গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা
অনেক অনলাইন শপিং প্রিয় গ্রাহক বলেছেন, “সঠিক সেলার পেলে অনলাইনে ইলিশ কেনা সুবিধাজনক, কিন্তু একবার বেশ সমস্যা হয়েছিল। মাছ পুরনো ও অস্বাস্থ্যকর ছিল।” আবার অনেকে বলেছেন, “বাজারে ভিড় এড়াতে অনলাইনে কেনাকাটা সেরা অপশন।”
বিশ্বের পর্যালোচনা
ই-কমার্সে তাজা খাদ্যদ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ উন্নত দেশগুলোতে হোম ডেলিভারি সিস্টেম ও ফ্রেশ প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত উন্নত। আমাদের দেশেও এগুলোকে অনুসরণ করতে হবে।
"তাজা মাছের ক্ষেত্রে সতেজতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ" — ড. আফসানা জামান