এক সমাজ, এক দায়বদ্ধতা প্রতিরোধের পথে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া জরুরি
প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২৫, ২:৩৭:৫০
ধর্ষণের পটভূমি ও সংশ্লিষ্ট আইন: বাংলাদেশের ফৌজদারি বিধিমালা ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ধারা ৩৭০: ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের দণ্ডনীয়তা নির্ধারণ
শিশু অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩: শিশুদের প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতা দমন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮: অনলাইন হয়রানি ও ভিডিও ফুটেজ অপব্যবহার দমন
আইনের শক্ত কাঠামো থাকা সত্ত্বেও অপরাধীরা প্রায়ই নীরব থাকে কিংবা শাস্তি এড়ায়।
বিচার বিভাগের কঠোর রায় ও মূল্যায়ন: সাম্প্রতিক সময়ে বিচার বিভাগ ধর্ষণ মামলায় কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। বিচারকরা বলেছেন, “ধর্ষণকারীরা যেন কোনো ছাড় না পায়, শাস্তি হওয়া দরকার কঠোর ও ন্যায্য।” এক বিচারক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমাদের সমাজ থেকে ধর্ষণ নির্মূল করা হবে না যদি না আমরা সকলে মিলে এই যুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়ি।”
আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি: আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, “আইন রয়েছে শক্তিশালী, কিন্তু তা প্রয়োগ ও দ্রুত বিচার ব্যবস্থা প্রয়োজন। সমাজের সচেতনতা ছাড়া কার্যকরতার সম্ভাবনা কম।” তদন্ত কর্মকর্তা সাবরিনা আক্তার যোগ করেন, “শরীরের পাশাপাশি মনের ক্ষতও গভীর। তাই ধর্ষণবিরোধী যুদ্ধে মানসিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা জরুরি।”
বাস্তব কেস স্টাডি: ২০১৯ সালে কুমিল্লায় একটি শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ধরা পড়লে, স্থানীয় সমাজের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার চাপের কারণে দ্রুত অপরাধী গ্রেফতার ও দণ্ডিত হয়। এর মাধ্যমে আমরা দেখলাম, সমাজের অংশগ্রহণ এবং আইনের সমন্বয় কেমন প্রভাব ফেলতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ডা. রুমানা রহমান বলেন, “ধর্ষণের শিকাররা জীবনভর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে পারে। তাদের জন্য মানসিক চিকিৎসা এবং সামাজিক সমর্থন অপরিহার্য।”সামাজিকভাবে ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়ার দায়িত্ব অনেক বেশি।
ধর্ষণবিরোধী যুদ্ধ কেবল একটি বিচারব্যবস্থার কাজ নয়; এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। তুমি কি এর অংশীদার? আজই সচেতনতা তৈরি কর, প্রতিবাদ কর, এবং নিজে থেকে সুরক্ষা নাও। কারণ ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্থায়ী বিজয় আসবে যখন আমরা একসঙ্গে এই যুদ্ধে নামব।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা ছাড়া কোনো উন্নত সমাজ গড়া সম্ভব নয়। তাই, ধর্ষণবিরোধী এই যুদ্ধে অংশ নেওয়াই সত্যিকারের মানবতার জয়।