প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ২:০৮:২৭
দেশে প্রথমবার রোবটিক সার্জারি চালু, যা বদলে দেবে চিকিৎসার মান ও রোগীর জীবনযাত্রা।
প্রযুক্তির ছোঁয়া মেনে কতটা এগোচ্ছে বাংলাদেশ?
“রোবটিক সার্জারি রোগীর দ্রুত আরোগ্য ও নিরাপত্তার জন্য যুগান্তকারী,” ডা. রিফাত হাসান, সার্জারি বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন হলো রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে। ঢাকায় দেশের প্রথম রোবটিক সার্জারি ইউনিট চালু হওয়ার ফলে এখন জটিল অপারেশনগুলো হয়ে উঠেছে অনেক দ্রুত, নিরাপদ এবং কম ব্যথাদায়ক।
গবেষণা জানায়, রোবটিক সার্জারি ব্যবহার করলে রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময় কমে যায় প্রায় ৩০% এবং অপারেশনের পর সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
লোকাল গল্প:
সাইফুল ইসলাম, ৩৫ বছর বয়সী, যিনি গলব্লাডার অপারেশনে রোবটিক সার্জারি করিয়েছেন, বলেন,
“অপারেশনের পর ব্যথা খুব কম ছিল, হাসপাতাল থেকেও দ্রুত ফিরতে পেরেছি। এখন আমার কাজেও ফিরে যেতে পারছি আগের মতো।”
আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রভাব
রোবটিক সার্জারি প্রযুক্তি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এতে চিকিৎসকরা ছোট ছোট টুল দিয়ে জটিল অপারেশনগুলি সহজেই করতে পারেন। ফলে রোগীর ক্ষতস্থানের আকারও ছোট হয় এবং পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়।
বিশ্বব্যাপী রোবটিক সার্জারি ব্যবহারের হার প্রতি বছর গড়ে ২০% বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য।
সামাজিক প্রভাব ও প্রশ্ন
সামাজিকভাবে, রোবটিক সার্জারি দেশের চিকিৎসা সেবায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোবটিক সার্জারি কেবল একটি প্রযুক্তিগত উন্নতি নয়; এটি বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা। রোগীদের জীবনমান উন্নত করাই এর প্রধান লক্ষ্য। তবে সবার জন্য এই সেবা সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করা কতটা সম্ভব, তা আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের স্বাস্থ্যখাতকে আরও আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হলে প্রযুক্তির পাশাপাশি নীতি, জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু প্রযুক্তি নয়, মানবিক সেবার মনোভাব ও রোগীর প্রতি সম্মানই হবে সফল চিকিৎসার আসল চাবিকাঠি।