প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ১:৫৩:০৩
দেশের ক্যান্সার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীদের জীবনে নতুন আশার আলো।
বিশেষজ্ঞ ও সেবা সমৃদ্ধ সেন্টারটি কেমন বদলে দেবে দেশের স্বাস্থ্যপরিসর?
“এখানে রোগীর জীবনই আমাদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য,” ডা. সাইফুল ইসলাম, প্রধান অনকোলজিস্ট
ঢাকায় দেশের প্রথম বিশ্বমানের ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সেন্টার উদ্বোধন দেশের স্বাস্থ্যখাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। আধুনিক রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ও রোবোটিক সার্জারি সুবিধাসহ, এই সেন্টারটি আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো রোগী এই সেবা পাবে, যা আগের সময়ের তুলনায় অনেক দ্রুত, নিরাপদ ও কার্যকরী।
বাংলাদেশ ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫০,০০০ নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়। তাদের অধিকাংশই যথাযথ চিকিৎসা ও সময়োপযোগী সেবার অভাবে ভুগছেন। এই নতুন সেন্টার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাইলফলক হিসেবে দাঁড়াবে।
আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া
এই সেন্টারে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি রেডিয়েশন প্রযুক্তি, যা ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করে চিকিৎসা প্রদান করে, পাশের স্বাস্থ্যবান টিস্যু অক্ষত রেখে। রোবোটিক সার্জারি পদ্ধতিতে, কম আঘাতে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব হচ্ছে।
ঢাকার নতুন সেন্টারের রোগী রাশিদা আক্তার বলেন,
“অন্যত্র যেতেও ভয় লাগত, এখানে এসে আশার আলো দেখেছি। চিকিৎসকরা এত যত্নশীল, প্রযুক্তিও আধুনিক।”
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেন্টার দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে এবং ক্যান্সার রোগীদের জীবনের গুণগত মান বাড়াবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়,
ঢাকায় এই বিশ্বমানের ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সেন্টার শুধুমাত্র একটি হাসপাতাল নয়, বরং ক্যান্সার রোগীদের জীবনে নতুন আশা, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়নের প্রতীক। সঠিক প্রযুক্তি, অভিজ্ঞ চিকিৎসক, ও সর্বোত্তম সেবার সমন্বয়ে এটি বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তবে সফলতার পথে জনগণের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সেবা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন সময় এসেছে শুধু হাসপাতালের সংখ্যাই নয়, সেবার মান ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার। কারণ, স্বাস্থ্যই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ, আর সঠিক চিকিৎসা নিয়ে দেশের মানুষ এগিয়ে যাবে আরও শক্তিশালী ভবিষ্যতের পথে।