প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ১:৩৮:৫৬
দেশে চালু হলো আধুনিক ট্রমা সেন্টার, যেখানে দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা পৌঁছাবে সড়ক দুর্ঘটনার শিকারদের।
জীবন রক্ষায় প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা।
“দ্রুত চিকিৎসা মানেই জীবন বাঁচানো আর সেই মন্ত্রেই তৈরি আমাদের নতুন ট্রমা ইউনিট,”
ডাঃ রায়হান হোসেন, ট্রমা সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি বড় জনস্বাস্থ্য সংকট। প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ এই দুর্ঘটনায় আহত হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে জীবনহানি ঘটে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজধানীর একটি প্রধান হাসপাতালে চালু হয়েছে অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার, যেখানে জীবন রক্ষার জন্য রয়েছে সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আধুনিক প্রযুক্তি ও দ্রুত সেবার মেলবন্ধন
নতুন এই সেন্টারে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম, উন্নত ইমার্জেন্সি কেয়ার ইউনিট, রোবোটিক সার্জারি এবং ২৪ ঘণ্টা প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রয়েছে। রোগীর অবস্থা দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম সর্বদা প্রস্তুত।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নতুন ট্রমা সেন্টার চালুর পর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার ৩০% হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্যসেবায় এক বিরাট অর্জন।
লোকাল গল্প: জীবন ফিরে পেয়েছেন রফিক
রফিকুল ইসলাম, যিনি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন, বললেন,
“নতুন ট্রমা সেন্টারে দ্রুত চিকিৎসা পেয়ে আমার জীবন ফিরে এসেছে। আগে কোথাও গেলে অনেক দেরি হত, কিন্তু এখানকার সেবা চোখে পড়ার মতো।”
সামাজিক প্রভাব ও বড় প্রশ্ন
প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে দেশের প্রত্যেক জেলায় এমন ট্রমা ইউনিট স্থাপন করা সম্ভব? কি ভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়? দ্রুত সেবা পেয়ে বাঁচা জীবন কতটা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
নতুন এই ট্রমা সেন্টার দেশের স্বাস্থ্যসেবায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যেখানে সড়ক দুর্ঘটনার শিকাররা পাচ্ছেন দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা, যা হারানো জীবন বাঁচাতে পারে। এই উদ্যোগ শুধু চিকিৎসা নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতিশীলতারও এক বড় পদক্ষেপ। কারণ, জীবন বাঁচানো মানেই দেশের ভবিষ্যত গড়ে তোলা। সতর্কতা, সচেতনতা আর উন্নত চিকিৎসা এসব মিলিয়ে তৈরি হবে দুর্ঘটনা মুক্ত একটি বাংলাদেশ। নতুন এই ট্রমা সেন্টারের সাফল্য তাই আমাদের সকলেরই আশার আলো।