প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ১:০৭:৩৩
আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশেষায়িত চিকিৎসার মেলবন্ধনে ঢাকায় উন্মোচিত হলো একটি বিশ্বমানের মা ও শিশু হাসপাতাল
যা দেশের মাতৃসেবার মানদণ্ড বদলে দেবে।
“প্রত্যেক মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য,”
ডাঃ সুমাইয়া রহমান, হাসপাতালের প্রধান কার্ডিওবনোলজিস্ট
ঢাকার হৃদয়ে মা ও শিশুর জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হলো। সম্প্রতি উদ্বোধিত এই মা ও শিশু হাসপাতাল অত্যাধুনিক চিকিৎসা, উন্নত প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে, যা দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে কমছে, তবে উন্নত চিকিৎসার অভাবে এখনও অনেক মা ও শিশু ঝুঁকির মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা এই হাসপাতালটি নতুন পথ দেখাবে।
আধুনিক প্রযুক্তি আর বিশেষায়িত চিকিৎসার সমন্বয়
হাসপাতালে সর্বাধুনিক আইসিইউ, নবজাতক বিশেষ পরিচর্যা ইউনিট (NICU), এবং রোবোটিক সার্জারির মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। গত এক বছরে এ ইউনিটগুলোতে ৮৫% মা ও শিশুর জীবন রক্ষার রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হাসপাতালের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দেশের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এক গ্লোবাল মানচিত্রে স্থান করে দেবে।
লোকাল গল্প: নতুন জীবনের প্রত্যাশা
[মমতাজ বেগম], যিনি সাম্প্রতিক সময়ে এখানে সিজারিয়ান ডেলিভারি করিয়েছেন, বললেন
“এই হাসপাতালের যত্ন ও প্রযুক্তি আমাকে ও আমার শিশুকে নতুন জীবন দিয়েছে। আগে এ রকম সেবা পেতাম না।”
সামাজিক প্রভাব ও ভবিষ্যতের প্রশ্ন
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য শুধুমাত্র একটি চিকিৎসা বিষয় নয়, এটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এই আধুনিক সেবা কি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব? স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়ানো এবং প্রশিক্ষিত কর্মী সংযোজন কি যথেষ্ট?
ঢাকার এই নতুন মা ও শিশু হাসপাতাল কেবল একটি ভবনের নাম নয়, এটি দেশের জন্য এক নতুন আশার আলো। যেখানে প্রযুক্তি আর মানবিকতা মিলেমিশে জীবন রক্ষা করছে, সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সবার। আমাদের উচিত এই অগ্রগতিকে দেশের প্রতিটি গৃহবন্দী মা ও শিশুর কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ, একটি সুস্থ জাতির নির্মাণের ভিত্তি শুরু হয় সুস্থ মা ও শিশুদের নিরাপদ সেবা থেকে। আজকের এই হাসপাতাল আমাদের স্বাস্থ্যখাতের উন্নতির নিদর্শন, যা নিশ্চিত করবে আগামী প্রজন্মের জন্য এক শক্তিশালী ভবিষ্যত।