চাকরি নয়, উদ্যোক্তা বানাতে চায় সরকার। বাজেটের ভাষায় যেন জেগে উঠছে
প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৫, ১২:০৬:১৩
চাকরি নয়, উদ্যোক্তা বানাতে চায় সরকার। বাজেটের ভাষায় যেন জেগে উঠছে তরুণ স্বপ্ন। তবে প্রবীণরাও কি রয়ে গেলেন পাশে? "বয়সের ভারে নয়, বাজেট এখন তরুণের ভাবনায় ভারী!" অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ
চলতি বছরের বাজেটে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে তরুণদের জন্য বরাদ্দ। স্টার্টআপ ফান্ড, প্রযুক্তিখাতে প্রণোদনা, যুব উন্নয়ন কর্মসূচির বাড়তি অর্থায়ন সব কিছু যেন বলছে, "তরুণেরা প্রস্তুত হও, বাজেট এবার তোমাদের পক্ষে।" অথচ প্রবীণ ভাতা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র ২%। দেশের প্রায় ৭০ লাখ প্রবীণ এখনো নিয়মিত ভাতা পান না। পল্লী অঞ্চলে তো অনেকে জানেনই না, কীভাবে আবেদন করতে হয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তরুণদের বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রবীণদের বাদ দিলে সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী রাষ্ট্র ফিনল্যান্ডেও বাজেটের একটি বড় অংশ প্রবীণ কল্যাণে ব্যয় হয়, যেখানে প্রযুক্তি ও তরুণ উন্নয়ন পাশাপাশি চলে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রবীণ হবে। তাই এখন থেকেই এ খাতকে গুরুত্ব না দিলে ভবিষ্যতে সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। তরুণরা এই বাজেট দেখে আশাবাদী তাদের ভাষায়, "সরকার অবশেষে স্বপ্ন দেখছে, শুধু চাকরি নয়, উদ্যোক্তা তৈরি করাও একটা দায়িত্ব।" ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং ও কৃষিভিত্তিক স্টার্টআপের জন্য যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, তা সত্যিই যুগোপযোগী। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রবীণদের জীবনযাত্রা, ওষুধ, চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি কি বাজেট ভুলে গেছে?
শেষ কথা:
"তরুণদের স্বপ্ন হোক বাজেটের চালিকা শক্তি, তবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা যেন হারিয়ে না যায় সময়ের স্রোতে।" দেশ গড়ে উঠুক দুই প্রজন্মের হাত ধরে, তবেই তো উন্নয়ন হবে টেকসই।