চলচ্চিত্রে নতুন দিগন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী সরকারি অনুদানে নির্বাচিত হয়েছেন, যা তরুণদের মাঝে সৃজনশীলতার বড় স্বীকৃতি।
প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১:১৮:২৭
চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন ইতিহাস গড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে তাদের নির্মিত দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একটি সিনেমার জন্য’ ও ‘হু হ্যাজ মেড আস ফ্লাই?’। প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২০ লাখ টাকা করে, মোট ৪০ লাখ টাকার সরকারি অনুদান পেয়েছেন তাঁরা।
তালিকায় থাকা ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাঝে জায়গা করে নেওয়া এই দুটি নির্মাণ শুধু শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণার বার্তা বহন করছে। ‘একটি সিনেমার জন্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও জবি ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি সাদমান শাহরিয়ার (১৪তম ব্যাচ), পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রাবী আহমেদ। অন্যদিকে, ‘হু হ্যাজ মেড আস ফ্লাই?’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার শাহ সাকিব সোবহান (১৫তম ব্যাচ)।
এই অর্জন প্রসঙ্গে প্রযোজক সাদমান শাহরিয়ার বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবারই প্রথম আমরা সরকারি অনুদান পেলাম। শিক্ষার্থীদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ খুব ব্যয়বহুল। এই অনুদান আমাদের স্বপ্নের পথে বড় সহায়ক হবে।” তিনি আরও প্রত্যাশা করেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তরুণ নির্মাতাদের জন্য আলাদা বরাদ্দ বাড়াবে, যেন তারা আরও শক্তিশালী কাজ উপহার দিতে পারে।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. নিসতার জাহান কবির বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। এবার সরকারি অনুদানে স্থান পাওয়ায় আমি গর্বিত ও আবেগাপ্লুত। এই অর্জন আমাদের ফিল্ম বিভাগের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।” তিনি জানান, বিভাগে নিয়মিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্মাণচর্চায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
এই স্বীকৃতি কেবল একটি সাফল্য নয় বরং দেশের চলচ্চিত্র শিক্ষা ব্যবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয়তা ও প্রগতিশীলতার একটি দৃঢ় প্রমাণ। সরকারি সহায়তায় এই তরুণ নির্মাতারা হয়তো আগামী দিনের চলচ্চিত্রের ভাষা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠতে পারে সমকালীন বাংলাদেশি সিনেমার পরবর্তী পথচিত্র।