 
                            প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৭:০৭
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মারাত্মক শিক্ষক সংকটে ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম থেমে থাকলেও এবার পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাসেই প্রথম ধাপে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) তিনি এ তথ্য জানান।
আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি। শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে, তবে কিছু কারিগরি বিষয় চূড়ান্ত করা বাকি। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও অধিদপ্তর বিপাকে পড়েছে। প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক বর্তমানে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন, কিন্তু একটি মামলার কারণে তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। এটি নিঃসন্দেহে এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আশা করছি, খুব শিগগিরই আদালতের রায় আসবে, তখনই আমরা ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব।’
তবে এই পদোন্নতির পর সহকারী শিক্ষক পদে আবারও প্রায় ৩২ হাজার শূন্যপদ তৈরি হবে। সে বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘যখন প্রধান শিক্ষক পদগুলো পূরণ হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সহকারী শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগ দিতে হবে।’ শুধু নিয়োগ নয়, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তার ভাষায়, ‘প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের কাজ চলছে। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পে-কমিশনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, শিক্ষকদের হতাশা অনেকটাই কাটবে।’