 
                            প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৮:৩৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দুই শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দিতে হয়।
এদিকে, অনশনরতদের দেখতে ঘটনাস্থলে যান উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে এই অনশন শুরু করেন তারা। প্রায় ২২ ঘণ্টা অনশনের পর সোমবার সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
অনশনরত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন—১৮-১৯ সেশনের মো. সুমন আলী, ২০১৯-২০ সেশনের ইকরা, একই বিভাগের হুমাইরা, ২০২১-২২ সেশনের ইমন এবং ২০২২-২৩ সেশনের সাদিক।
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাইসুল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি—বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। বিভাগের চেয়ারম্যান হতে হবে আমাদের বিভাগ থেকেই। প্রশাসন এখনো দাবি না মানায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। আমাদের কয়েকজন সহপাঠী অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তবুও আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও শিগগিরই সমাধান আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাইয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। যদিও ২০২৩ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শুধু চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই আবেদন করার যোগ্য ছিলেন, কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে তার নিজ বিভাগ মনোবিজ্ঞান সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রথমে তিন দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এর মধ্যে রয়েছে— বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএসে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। পরে তারা এক দফায় এসে সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন।