 
                            প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩:১৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ফান্ডের টাকার হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ডাকসু নেতারা। ২৮ বছর ধরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ডাকসুর জন্য বিভিন্ন সময়ে এই টাকা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, এত বছরের জমা টাকা কোথায় গেল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও করে এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ব্যাখ্যা চান শিক্ষার্থীরা। জবাবে তিনি জানান, এ পর্যন্ত ডাকসুর তহবিলে পাওয়া গেছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা, তবে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ।
শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ওই অর্থ নির্বাচন সংক্রান্ত খরচে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাকসু নেতারা জানান, এ অর্থ এভাবে খরচ করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই। ডাকসুর তহবিল ডাকসু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যয় হওয়া উচিত।
তারা আরও দাবি জানান, হল সংসদ ও ডাকসুর পূর্ববর্তী সব ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ করতে হবে, বাজেটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে টোকাই, ভবঘুরে ও মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এই তিন দফা দাবিতে তারা কোষাধ্যক্ষের অফিসের সামনেও বিক্ষোভ করেন।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অর্থ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নীতিগত পর্যায়ে নেওয়া হয় এবং ডাকসুর আলাদা কিছু না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক আয়ের অংশ আছে। ইউজিসি একটি বরাদ্দ দেয়। সে টাকার মধ্যে এই ফি-ও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি জানান, বাজেটের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বাধীনতা নেই। আয় খুব কম। সরকারি বাজেটের ওপর নির্ভর করতে হয়। ১২০০ কোটি টাকা চাইলেও ৯০০ কোটির কিছু বেশি দিয়েছে। খরচ কমালেও ১০০ কোটি ঘাটতি হবে। তারা বলেছে, আয় বৃদ্ধি করতে।
তবে শিক্ষার্থীরা এতে সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা ডাকসুর জন্য যে অর্থ দিয়েছেন, সেটি ডাকসুর কাজে ব্যবহার করতে হবে, অন্য খাতে নয়। কোষাধ্যক্ষ জানান, বিষয়টি নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ঘেরাও কর্মসূচিতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়েরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। একপর্যায়ে কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের ঘটনাও ঘটে।