জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ভেঙে নতুন কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কর্মকর্তারাও সম্মত বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:১৫:০০
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই বিভাগ গঠনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কোনো আপত্তি নেই।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, এনবিআর অধ্যাদেশে ত্রুটি রয়েছে। অধ্যাদেশে উপযুক্ত যোগ্য ব্যক্তি ও রাজস্ব আদায়ের যোগ্যতা স্পষ্ট করা হয়নি। এই বিষয়গুলো সংশোধন করা হবে। তিনি আরও জানান, রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগে শুধু ট্যাক্স ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তারা থাকবে এই দাবি অযৌক্তিক। পাশাপাশি সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের দায়িত্ববোধও থাকবে এবং ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। এ সময় সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগে একটি কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, এনবিআর নামটি আর থাকবে না, কারণ এটি শুনলেই অনেকেই হাসে। এই নামের সঙ্গে জড়িত কিছুকিছু কারণ সবাই জানে। এছাড়া, এনবিআরের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা সরকারের চাপের ফলে নয়। তিনি বলেন, “তারা দুদককে মোকাবেলা করুক। তাছাড়া, দুদক দায়মুক্তি দেয়ার জন্যও পরিচিত।”
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনবিআর ইচ্ছামত কাজ বন্ধ করতে পারবে না এবং বন্দরকে জিম্মি করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, অর্থনীতি ও সরকারকে জিম্মি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির খান বলেন, বিশ্বব্যাংক যে তথ্য দিয়েছে তা ছয় মাস আগের। তারা মন্দা ও ব্যাংক খেলাপির কথা বলেছে, কিন্তু বর্তমানে দেশের অর্থনীতি উল্টো পথে এগুচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং ডলারের দামও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।