পাহাড়ি অঞ্চলে টানা অভিযানে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় সাফল্য
প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১১:৪২
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর শীর্ষ এক কমান্ডারসহ দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোররাতে রুমার উলুপাতং এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সন্ত্রাসে ব্যবহৃত যোগাযোগ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে অন্যতম হলেন লাল থাংগা, যিনি কেএনএ-র সক্রিয় অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
অভিযানের বিস্তারিত
সেনাবাহিনীর বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রুমার উলুপাতং এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানে অভিযান চালায় সেনা টহল দল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়:
সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তথ্য
সেনা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, নিহত লাল থাংগা ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় ও অস্ত্র পরিবহন করত।
সেনাবাহিনীর অবস্থান
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।”
জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
অভিযানের পর রুমা ও আশপাশের এলাকায় জনমনে স্বস্তির পাশাপাশি কিছুটা উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, “সেনাবাহিনীর অভিযানে আমরা আশ্বস্ত, তবে চাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হোক, যাতে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পার্বত্য এলাকায় অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান আরও তীব্র করার পরিকল্পনা রয়েছে।