কর্মকর্তাদের কলমবিরতির কারণে স্থবিরতা কাটিয়ে সচল হল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২৫, ১২:৫৯:৫৫
দুই দিনের কার্যত অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আবারও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও কর্মবিরতির কারণে গত শনিবার ও রোববার দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস ভবনে পুনরায় দাফতরিক কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি ফিরে আসে।
বন্দরে কী ঘটেছিল?
বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট একাডেমির ট্রেনিং রিকুইজিশনে কর্মকর্তাদের একাংশের প্রেষণ ও পদায়ন নিয়ে অসন্তোষের জেরে কাস্টমস কর্মকর্তারা “কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি” পালন করেন। ফলে দুটি পূর্ণ কর্মদিবস কাস্টমসের ডকুমেন্ট প্রসেসিং, গেট পাস, বিল অব এন্ট্রি নিষ্পত্তি, ও অন্যান্য দাফতরিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, এই অচলাবস্থার কারণে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ২০০–১ হাজার ৫০০ কনটেইনার ছাড়ে বিলম্ব ঘটে, যার প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতেও।
ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,
আমদানি পণ্যের খালাস বিলম্বিত হলে সরবরাহে সমস্যা হয় এবং ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি হয়। এ ধরনের প্রশাসনিক অচলাবস্থা ব্যবসার জন্য হুমকিস্বরূপ।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অবস্থান
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন,
বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত কার্যক্রম চলবে।
চলমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। কাস্টমস হাউস জানিয়েছে, অতিরিক্ত শিফট চালু করে পেন্ডিং কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।অন্যদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কাস্টমস অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় জোরদার করা হবে।