 
                            প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৬:৪৩
পরীক্ষার হলে পরপর কয়েকবার কাশি দিচ্ছিলেন কৃষ্ণকান্ত রায় নামে এক পরীক্ষার্থী। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি করা হয়। পরে তার কাছ থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে খাদ্য অধিদফতরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের পরীক্ষা চলছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি হাবিবুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে আটক করে।
আটক পরীক্ষার্থী কৃষ্ণকান্ত রায় জেলার বিরল উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের আশুতোষ রায়ের ছেলে। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। আটক কৃষ্ণকান্ত গত বছর দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি দিনাজপুর শহরে ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত জানান, ঢাকার একটি জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে তিনি ডিভাইসটি নেন। তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দিয়ে সংকেত দিতে। কিন্তু তিনি বিষয়টি বুঝতে না পেরে বারবার কাশি দিতে থাকেন এবং ধরা পড়েন।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘আটক কৃষ্ণকান্ত রায়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার একটি চক্রের মাধ্যমে এসব ডিভাইস নিয়ে তিনি আজ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বসেছিলেন। যোগাযোগ ডিভাইসের অন্য প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে যেন কাশি দেন। বিষয়টি বুঝতে না পেরে বারবার কাশি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি।’