গোপন সভা ও সরকারবিরোধী পরিকল্পনায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ, আদালতে জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২:১৫:২২
ঢাকা, ১২ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কাছে একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার সুমাইয়া জাফরিন সেনা হেফাজতে থাকা মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী এবং একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক কর্মকর্তা। গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন হলে ৩০০–৪০০ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত গোপন সভায় সরাসরি অংশ নেন তিনি। পুলিশ জানায়, সভাকালে কনভেনশন সেন্টারের সিসিটিভির ডিভিআরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং উপস্থিতদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
পুলিশের অভিযোগ, সুমাইয়া রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস, কাঁটাবন ও পূর্বাচলের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক গোপন সভা করেছেন। তিনি ‘অপারেশন ঢাকা ব্লকেড’-এর সক্রিয় সদস্য এবং নেতা-কর্মীদের ডাটা এন্ট্রি, গোপন কোড তৈরি ও অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে সংগঠনকে সক্রিয় রাখতেন।
তবে সুমাইয়ার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল নিরপরাধ।
এই ঘটনায় গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলায় বলা হয়, বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয় এবং পরিকল্পনা করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন এবং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গত, সেনা সদর ৩১ জুলাই জানায়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মেজর সাদিকুল হককে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট আইএসপিআর জানায়, ১৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে আটক করা হয় এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।