মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা, বাতিল হচ্ছে পূর্বের সনদভিত্তিক জ্যেষ্ঠতা
প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৫, ২:০৫:৫০
বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে এবার থেকে চাকরিতে যোগদানের তারিখই একমাত্র ভিত্তি হিসেবে গণ্য হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে।
নতুন নীতিমালার পটভূমি
আগে অনেক প্রতিষ্ঠানে সনদ অর্জনের সময়, ট্রেনিংয়ের বছর অথবা সাবেক চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হতো, যার ফলে একই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পরেও কেউ কেউ পদোন্নতি বা সুবিধায় অগ্রাধিকার পেতেন।
নতুন নির্দেশনায় এ পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে
একই পদে একাধিক ব্যক্তি থাকলে, যিনি আগে যোগ দিয়েছেন, তিনি জ্যেষ্ঠ হিসেবে গণ্য হবেন।
শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
অনেক শিক্ষক নতুন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কেউ কেউ বলছেন, এতে পুরনো কিছু ন্যায়সংগত দাবির স্বীকৃতি হারাতে পারে। বিশেষ করে, যারা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা পেতেন, তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ঢাকার একটি কলেজের শিক্ষক বলেন, “এটা স্বচ্ছতা আনবে ঠিকই, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পুনঃপর্যালোচনার সুযোগ রাখা দরকার।”
প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয়
মাউশি-এর চিঠিতে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বর্তমান জ্যেষ্ঠতার তালিকা হালনাগাদ করে পুনরায় জমা দিতে হবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পরবর্তী পদোন্নতি, দায়িত্ব ও প্রশাসনিক বণ্টন নির্ধারিত হবে।
আইনি জটিলতা এড়াতেই এই পদক্ষেপ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “জ্যেষ্ঠতা নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানেই মামলা-মোকদ্দমা চলছিল। একক নীতির অভাবে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছিল। তাই যুক্তিসংগত ও কার্যকর সমাধান হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।