সাহিত্যের নানা ঘরানায় জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকা থেকে আমেরিকা, লাতিনো কল্পনা থেকে এশীয় আত্মজৈবনিক উপন্যাস পর্যন্ত নানা ধাঁচের ৫০টি বই।
প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৫, ২:৪৬:০৩
গ্রীষ্ম মানেই গল্পের ছায়ায় শরীর জুড়ানো
অ্যামেরিকান লেখক সারা ওয়াটকিন্স-এর “A Sky Between Us”, নাইজেরিয়ান সাহিত্যিক চিমামান্ডা এনগোজি আদিচির “The Dust Chronicles”, কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার হিট থ্রিলার “Ashes of Spring” সবগুলো বই-ই গ্রীষ্মকালীন পাঠকের চাহিদা মাথায় রেখে নির্বাচন করা হয়েছে। এমনকি নোবেলজয়ী কযুনো ইশিগুরোর “Memory Leaves” বা ফিলিপ রথ-এর প্রকাশ-পরবর্তী গ্রন্থ “Ghost Letters” নিয়েও রয়েছে নতুন ব্যাখ্যা।
“সাহিত্য কখনো শুধু শব্দ নয়, কখনো তা সময়ের প্রতিচ্ছবি। গ্রীষ্মে বই পড়া মানেই নিজেকে নতুন করে খোঁজার সুযোগ।” লুসি এলিস, সাহিত্য সমালোচক, গার্ডিয়ান
পাঠকের চোখে বিশ্বজয়ী সাহিত্য
এই তালিকায় স্থান পাওয়া অনেক বই ইতিমধ্যেই অনূদিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়।
বিশ্ব পাঠক সমাজে বিশেষ আলোড়ন তুলেছে ব্রাজিলের “The Mango Street Diaries” এবং ফরাসি লেখক ইলিয়েন স্যাভিয়ার-এর “Blue Fireflies” দুটি উপন্যাসই নারীর অভিজ্ঞতা ও সমাজ-রাজনীতিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেখক রাহাত ইসলাম-এর “Lost in Dhaka” বইটিও ‘নোটেড নিউ কামারস’ বিভাগে সুপারিশ পেয়েছে।
গ্রীষ্মে বই কেন জরুরি?
গ্রীষ্মকাল মানেই দীর্ঘ ছুটি, কিছুটা শূন্যতা, কিছুটা অবসর। এই সময়টাই প্রকৃত পাঠকের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত। আর তাই গার্ডিয়ানের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবছরই সাজায় এমন তালিকা যা শুধু বইপ্রেমীদের নয়, নতুন পাঠকদেরও বইমুখী করে তোলে।
বই ও বাজার
বিশ্বজুড়ে বই বিক্রির ৩০% হয় গ্রীষ্মে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছুটিকালীন পড়াশোনা কেবল মনোরঞ্জনই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। যুক্তরাজ্যের 'পাবলিশিং ট্রেড বোর্ড' বলছে ২০২৫ সালের মে মাসেই গ্রীষ্মকালীন বই বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৮%।
শেষ কথা:
গ্রীষ্মের কড়া রোদে এক গ্লাস লেমনেড আর পাশে গার্ডিয়ানের বাছাই করা বই এই মিলনটাই হয়তো একমাত্র নীরব অভিজ্ঞান, যেখানে পাঠক নিজেকে খুঁজে পায় নতুন করে। বইয়ের পাতায় হারানো এই যাত্রা শুধু সাহিত্যিক নয়, আত্মিকও।