নেপালে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত, কারফিউ জারি
প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:০৪:৩৮
নেপালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কারফিউ জারির পরও কাঠমান্ডু উপত্যকায় তরুণদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের দমন-পীড়ণে প্রাণহানির ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কাঠমান্ডুর বাইরে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, নিউ বানেশ্বরসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। সোমবার জেন জি প্রজন্মের দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভে অন্তত ১৭ জন কাঠমান্ডুতে এবং ২ জন ইটাহারিতে নিহত হন। এসময় আরও ৪০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী আহত হন।
সরকারি দমননীতি ও রক্তক্ষয়ী ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে কালিঙ্কি, ছাপাগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে কড়াকড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রিং রোডের ভেতরে কারফিউ জারি করেছে। ললিতপুরে সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং ভক্তপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বলবৎ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন আইন ১৯৭১-এর ধারা ৬(৩) অনুযায়ী চলাফেরা, জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে।
তবুও মঙ্গলবার সকালে নিউ বানেশ্বর পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হন। এক অংশগ্রহণকারী জানান, “গতকালের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে। আমি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।” সোমবারের বিক্ষোভে নিহত হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা সরকারের কঠোর দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার চন্দ্রনিগাহাপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডজনখানেক ফাঁকা গুলি ছোড়ে। হতাহত বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ।