শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
| ১৬ কার্তিক ১৪৩২
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষ্যে জেরা করবেন ডিফেন্স। বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বড় মোড় এসেছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পাশাপাশি আল মামুনও আসামি। তদন্তে শেখ হাসিনাকে মূল নির্দেশদাতা বলা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের অনেকে এখনো বিভিন্ন সেক্টরে সক্রিয় রয়েছেন। রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খুনিরা যদি দেশের অভ্যন্তরে সমর্থন না পেত, তাহলে পালিয়ে যেতে পারত না। অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে বিচার হলেও প্রকৃত বিচারের দাবি অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট সংঘটিত লাশ পোড়ানো ও গণহত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনকে আসামি করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-তে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এই বিকল্প প্রতিবেদনটি তথ্যসমৃদ্ধ, গঠনমূলক এবং নিরপেক্ষভাবে ঘটনাগুলো উপস্থাপন করে। এটি একটি পত্রিকার উপযুক্ত কাঠামোতে রূপান্তরিত, যাতে সংবাদ পাঠকের কাছে পরিষ্কারভাবে পৌঁছে যায় এবং রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বজায় থাকে।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মামলায় ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে গণহত্যা ও দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলা ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।