ভারী বর্ষণে ভূমিধস ও বন্যার সতর্কতা জারি

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং সিলেট অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় উপকূলীয় ও পার্বত্য অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে পাহাড়ধসে প্রাণহানি এবং নদী প্লাবনে বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ভূমিধসের সম্ভাব্য এলাকা:

• চট্টগ্রাম মহানগর ও পাশ্ববর্তী পাহাড়ি অঞ্চল
• রাঙামাটি জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী
• বান্দরবানের থানচি ও লামা
• খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, গুইমারা

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বসতিতে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা ও cyclone shelter গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নদীর পানি বাড়ছে

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দেশের মেঘনা ও সুরমা নদীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

করণীয় নির্দেশনা:

• পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস বন্ধ রাখুন
• জরুরি প্রয়োজনে ১০৯০ (জরুরি হেল্পলাইন) নম্বরে যোগাযোগ করুন
• খাবার, পানীয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রাখুন
• বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন

পরিবহন ও শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সরকারি বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের বার্তা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন,

"আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনা, নৌ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আমরা মানুষকে সময়মতো সরিয়ে নিতে কাজ করছি।"