বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০.৮৩ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ২৯ শতাংশ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (গ্রস)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত বিপিএম৬ হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন অ্যাসেটস অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস বৈচিত্র্য রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে।

তথ্য অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট একদিনেই প্রবাসী আয় এসেছে ৯০ মিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১.১৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের ৮৮৯ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৮.৬ শতাংশ বেশি।

এছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে (জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট) প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.৬২২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২.৮০৩ বিলিয়ন ডলার। ফলে এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯.২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রবাসী আয়ের এই ধারা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাপ কমাবে। এতে রিজার্ভ স্থিতি উন্নত হবে, আমদানি ব্যয় নির্বাহ সহজ হবে এবং মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপমুখী শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি এবং সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকায় এ আয়ের প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।