শ্রমনির্ভর পেশা নয়, এবার চাহিদা প্রযুক্তি, ভাষা ও মাইক্রো স্কিলের। বাংলাদেশ কি এই সুযোগ নিতে পারছে-
প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৫, ৩:৫৭:০১
গ্লোবাল বাজারে স্কিলভিত্তিক বিপ্লব
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জব প্ল্যাটফর্ম Indeed ও LinkedIn Jobs বলছে ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে নিচের স্কিলগুলোর ওপর:
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে প্রতি বছর প্রবাসী শ্রমিক যাচ্ছেন মূলত মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও ইউরোপে। তবে বেশিরভাগই সাধারণ ও শ্রমনির্ভর কাজের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “বাংলাদেশি তরুণরা যদি দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দেয়, তাহলে শুধু শ্রমিক নয় বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরে ‘নলেজ ওয়ার্কার’ হিসেবেও নেতৃত্ব দিতে পারে।” আইটিইএস, নর্দার্ন ইউরোপে হেলথকেয়ার জব, ইংরেজিভিত্তিক রিমোট কাজ এই সবখানেই বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রবল।
“বিদেশি চাকরি এখন শুধু ভিসার খেলা নয়, এটি দক্ষতার যুদ্ধ।” ড. ফারহানা আহমেদ, অভিবাসন বিশ্লেষক
স্কিল মানেই উন্নয়ন
জার্মানিতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষিত তরুণরা নিজেদের B1/B2 ভাষা স্কিল, আইটি ট্রেনিং বা নার্সিং কোর্সের মাধ্যমে আবেদন করলে আগেভাগেই সুবিধা নিতে পারেন। ইতোমধ্যেই PR প্ল্যান সহ স্কিল বেইসড ভিসা পদ্ধতি চালু করেছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স। এসব দেশ চাইছে ইন্ডাস্ট্রি-রেডি স্কিলড ওয়ার্কার।
করণীয় কী?
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেমন BIDA, BMET সহ বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশমুখী কর্মীদের ট্রেনিং ও ভাষা শিক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, “এই প্রশিক্ষণকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত না করলে, বড় বাজার থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।”
শেষ কথা
বিদেশি চাকরি মানেই এখন শুধু চাকরি নয়, জাতির উন্নয়নের হাতিয়ার। সঠিক স্কিল আর প্রফেশনাল প্রস্তুতি থাকলে বাংলাদেশের তরুণরাই হতে পারেন বিশ্ববাজারের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত মানবসম্পদ। সময় এসেছে মেধা দিয়ে দুনিয়া জয়ের।