সিভির যুগ কি ফুরিয়ে আসছে? ডিজিটাল footprints, অনলাইন স্কিলপ্রেজেন্টেশন ও সোশ্যাল প্রোফাইলের আধারে বদলে যাচ্ছে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া।
প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৫, ৩:৪৫:০৬
প্রোফাইলেই প্রমাণ-আপনি কে!
বিশ্বখ্যাত হায়ারিং প্ল্যাটফর্ম Glassdoor-এর এক জরিপ অনুযায়ী, ৭৩% নিয়োগকারী অনলাইনে প্রার্থীর সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি স্ক্যান করেন। বিশেষ করে ম্যানেজমেন্ট বা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট চাকরির ক্ষেত্রে সোশ্যাল প্রোফাইলই এখন প্রার্থী নির্বাচনের প্রথম ফিল্টার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন একটি প্রফেশনাল LinkedIn প্রোফাইল, নিয়মিত আপডেটেড GitHub প্রজেক্ট, এবং টোন-মেইনটেইনড পাবলিক পোস্ট এখন সিভির থেকেও বেশি প্রভাবশালী।
“সিভি মিথ্যা বললেও প্রোফাইল বলে বাস্তব সত্য আপনি কীভাবে ভাবেন, কাজ করেন আর নিজেকে উপস্থাপন করেন।” আব্দুল্লাহ জামান, টেক রিক্রুটার, জার্মানি
বিশ্বজুড়ে পরিবর্তন:
Google, Microsoft, Amazon-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সিভির পাশাপাশি প্রার্থীর অনলাইন প্রেজেন্স চেক করে। নতুন ট্রেন্ড হলো Skill Badge, Endorsement, Micro Portfolio যুক্ত থাকা। ভারতে একাধিক স্টার্টআপে এখন “LinkedIn Challenge” চালু যেখানে সিভির দরকারই নেই, প্রোফাইলেই সব যাচাই হয়।
তরুণদের নতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ
আজকের তরুণ প্রজন্মকে তাই সচেতন থাকতে হচ্ছে, শুধু ক্যারিয়ার নয় সোশ্যাল বুদ্ধিমত্তাও এখন বড় যোগ্যতা। আপনার অনলাইন আচরণ, কমেন্ট, কন্টেন্ট শেয়ার সবই প্রমাণ দিচ্ছে আপনি কেমন পেশাজীবী হতে পারেন। বাংলাদেশেও বেশ কিছু কর্পোরেট ফার্ম যেমন: Grameenphone, bKash, Pathao নিয়োগে সোশ্যাল ফ্যাক্টর বিবেচনা করে বলেই জানা গেছে।
শেষ কথা:
আজকের কর্মদুনিয়ায় “কী করেছেন” নয়, “কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন” তাই মুখ্য। তাই সিভির পাশাপাশি এখনই সময় নিজের অনলাইন প্রোফাইল ঝালিয়ে নেওয়ার। কারণ পরবর্তী চাকরির পথ, হয়তো আপনার প্রোফাইলেই লেখা আছে।