কায়রোতে অবস্থানরত হামাস নেতাদের টার্গেট করে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার অভিযোগ; সতর্ক করল মিসর
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:০৫:৫১
ইসরায়েল কায়রোতে অবস্থানরত হামাস নেতাদের টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে মিসর বলেছে, এ ধরনের যেকোনও হামলা তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এবং যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।
একজন শীর্ষ মিসরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন,
দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল এমন পরিকল্পনা করছে। এমনকি গত দুই বছরে যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় একবার এই হামলার চেষ্টা মিসর ব্যর্থ করে দেয়।
এর আগে কাতারের দোহায় হামাস নেতৃত্বকে টার্গেট করে প্রায় ১২টি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ঘটনায় আবাসিক ভবন ধ্বংস হয় এবং বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে বলেছিলেন, হামাস নেতারা বিদেশে গেলেও তাদের টার্গেট করা হবে।
তবে মিসরের কর্মকর্তারা বলেছেন, কায়রোতে হামাস নেতাদের উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও তারা এখানে বসবাস করছেন। নিরাপত্তার কারণে তাদের পরিচয় ও অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা জানান, দোহায় হামলার সময় কোনও ইসরায়েলি বিমান মিসরের আকাশসীমা ব্যবহার করেনি। বর্তমানে সিনাই উপদ্বীপে চীনা নির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন আছে, ফলে অনুমতি ছাড়া কোনও বিমান প্রবেশ করলে তা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত হয়ে যেত।
আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি সরাসরি হামাসকে রক্ষার জন্য নয়; বরং কায়রোর মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন। হামাসের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্ক থাকায় মিসর তাদের সন্দেহের চোখে দেখে। তবে কায়রোতে হামাস নেতাদের হত্যাকাণ্ড ঘটলে তা মিসরের সম্মান ও আঞ্চলিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করবে।
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মিসর প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও দেশটির জনগণ বরাবরই ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।