জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯:৩০
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের সময় পুলিশি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়া এ বিক্ষোভ এখন দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার) সহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামে মূলত জেন-জি প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দিলে বিক্ষোভ রূপ নেয় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালেই বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বিকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়। একইসঙ্গে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১০০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন, আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে ত্রিভুবন টিচিং হাসপাতালে।
এদিকে সহিংসতায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ওলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
নেপালে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ৩৬ লাখ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতির পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম যেমন টিকটক, ভাইবার ইত্যাদি সচল থাকবে।