দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে এই সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে
প্রকাশিত : ২৮ মে ২০২৫, ৩:১৭:৪৭
বুধবার (২৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি ও বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কিন দূতাবাসগুলোতে পাঠানো এক স্মারকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, এ স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বার্তায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ও বৈদেশিক বিনিময় কর্মসূচির আওতাধীন ভিসার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই (আবেদনকারীদের) জোরালো করা হবে। এটি মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব (যেমন বাড়তি চাপ, নতুন প্রক্রিয়াগত বাধা, সময়সাপেক্ষ কাজের বোঝা তৈরি) ফেলবে।
এমন এক সময় এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা এল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বন্দ্ব চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে ট্রাম্প অতিরিক্ত বামপন্থী বলে মনে করেন। তার অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষের সুযোগ দিচ্ছে এবং বৈষম্যমূলক ভর্তি নীতি অনুসরণ করছে।
বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংস্থা সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে বলা হয়েছে, ভিসাপ্রত্যাশী যেসব শিক্ষার্থী এখনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি, তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্যালেন্ডার থেকে সরিয়ে ফেলতে। তবে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে, তারা সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করা সবার ‘‘প্রয়োজনীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই ও তল্লাশি কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণের’’ প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
উল্লেখ্য, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে চান, তাদের ভিসা অনুমোদনের আগে সাধারণত নিজ নিজ দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়।
শিক্ষার্থী ভিসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কে দেশে প্রবেশ করছে, তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়াকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং তা আমরা চালিয়ে যাব।’’
এর আগে গত ২২ মে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে দেশটিতে উপস্থিত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর বন্ধ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরেরদিন ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের মামলার প্রেক্ষিতে হার্ভার্ডের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন আদালত।