ডলারের দামে হঠাৎ উর্ধ্বগতি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২৫, ১২:৪৭:৫২
ডলারের দামে হঠাৎ উর্ধ্বগতি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমদানিনির্ভর দেশগুলো পড়েছে বড় ঝুঁকিতে বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি ও কাঁচামাল আমদানিতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংকেত সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
বিশ্ব অর্থনীতির রক্তচক্ষু যেন এখন মার্কিন ডলারের ওপর! গত এক মাসে ডলারের বিপরীতে বেশিরভাগ মুদ্রা ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি শুধু আর্থিক নয়, কৌশলগত সংকটও বটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে রাজনৈতিক অস্থিরতা ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে ডলার শক্তিশালী হলেও, আমদানি-নির্ভর দেশগুলোকে একই পণ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের মতো দেশের আমদানি ব্যয় এক মাসেই প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানিতে এর প্রভাব স্পষ্ট।” এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। একজন অভিজ্ঞ আমদানিকারক জানান, “আমরা প্রতি লটে ২০–৩০ হাজার ডলার বেশি খরচ করছি এখন। দাম বাড়ানোর চাপ পড়ছে শেষমেশ ভোক্তার ওপর।” বিশ্বজুড়ে এই প্রবণতা নতুন নয়। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও ডলারের প্রাধান্য অনেক দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নামিয়েছিল। তবে এবার সংকট আরও বহুমাত্রিক। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে, পাশাপাশি সোনার দামের ওপরও চাপ পড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি ডলার সঞ্চয় বাড়াতে থাকে, তবে আগামী কয়েক মাসে আরও চড়া হতে পারে এর দাম। এর ফলে আমদানিকারক দেশগুলোকে নিজস্ব রিজার্ভ রক্ষা ও মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে জোর কৌশল নিতে হবে।