জামায়াতে ইসলামীর কোন দায়িত্বে আসছেন এ টি এম আজহার?
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম দলীয় কার্যালয়ে সক্রিয় হয়েছেন। তাঁকে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় অফিসে একটি আলাদা কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যদিও এখনো কোনো দলীয় পদ বা দায়িত্বে তাঁকে বসানো হয়নি। দলীয় সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘ কারাবাসে থাকলেও তিনি নিয়মিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
সম্প্রতি তাঁর জামিন ও মুক্তির পর থেকে গুঞ্জন ওঠে যে তিনি দলের আমির হতে যাচ্ছেন। তবে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে তাঁর আমির হওয়ার সুযোগ নেই, কারণ আমির নির্বাচিত হন রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে। বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এ, এবং তার আগ পর্যন্ত নতুন আমির নির্বাচন সম্ভব নয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির হওয়ার সম্ভাবনায় এ টি এম আজহারুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রায় ১৩ বছর কারাভোগের পর জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সক্রিয় হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পদ পাননি। তবে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁকে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির পদে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
জামায়াতে বর্তমানে তিনজন নায়েবে আমির রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আ ন ম শামছুল ইসলাম। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নায়েবে আমিরদের নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক’ রাখা যেতে পারে।
অন্যদিকে, জামায়াতের আমির নির্বাচনের একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে মজলিসে শূরার সদস্যরা গোপন ভোটের মাধ্যমে সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর নাম ঠিক করেন। পরে সারা দেশের রুকনদের কাছে নামগুলো পাঠানো হয়, এবং তারা গোপন ব্যালটে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। রুকনরা চাইলে এই তিনজনের বাইরে কাউকে লিখেও ভোট দিতে পারেন। সবশেষে, নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া ব্যক্তিকে আমির হিসেবে ঘোষণা করে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, এ টি এম আজহারুল ইসলাম যদি আমির হতে চান, তাহলে তাঁকেও রুকনদের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ আগস্ট তাঁকে ঢাকার বড় মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তিনি কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন এবং একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৮ মে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সকল অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।
জামায়াতের নায়েবে আমির হওয়ার সম্ভাবনায় এ টি এম আজহারুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রায় ১৩ বছর কারাভোগের পর জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সক্রিয় হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পদ পাননি। তবে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁকে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির পদে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।