সংলাপের নতুন পর্বে রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে খোলামেলা মতপ্রকাশের আহ্বান
প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৫, ৩:০৪:২৯
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র গঠনে যে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে, তা হেলায় হারালে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষমা করবে না। গত ৫৩ বছরে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে এমন গঠনমূলক আলোচনার পরিবেশ আর কখনো আসেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার নবম দিনের সংলাপের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপে আলোচ্য বিষয়
ড. আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত ২০টি মৌলিক সংস্কার বিষয়ক এজেন্ডা থেকে আজ আলোচনা করা হচ্ছে তিনটি বিষয়ে
১. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা
২. বিচারবিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ
৩. জরুরি অবস্থা জারির বিধান
তিনি বলেন,
এই বিষয়গুলো রাষ্ট্র কাঠামোর স্বচ্ছতা ও ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হলো অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগানো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সীমানা নির্ধারণে ঐকমত্য
এর আগে বুধবার (২ জুলাই) অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশন ইতোমধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এটি আলোচনার একটি বড় অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চূড়ান্ত হচ্ছে ‘জাতীয় সনদ’
কমিশন আশা করছে, চলমান সংলাপ এভাবে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে গেলে জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো আবারও আলোচনার টেবিলে তোলা হবে বলে জানান আলী রীয়াজ।
ঐকমত্যের গুরুত্বে আলী রীয়াজের আহ্বান
তিনি বলেন, “প্রতিদিন স্মরণ করি যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের জন্ম, রাজনৈতিক দলগুলোকেও তা মনে রাখতে হবে। অতীতকে স্মরণ করে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।”