এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন
প্রকাশিত : ২৮ মে ২০২৫, ২:৪৫:৩৫
একটা অদ্ভুত বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, গত ৮ মার্চ আসিয়া ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সুফিয়া কামাল হল থেকে আমরা মেয়েরা মিছিল বের করে গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করি। হলপাড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আমরা স্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু কোনো ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ হলপাড়া থেকে বের হচ্ছিল না। এই হচ্ছে এদের সাধারণ শিক্ষার্থীগিরির নমুনা। পান থেকে চুন খসলে যেখানে এরা মিছিল বের করে সেখানে আসিয়ার জন্য এরা মিছিলে যুক্ত হতে পারে না।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব, এসব পার বাটপারদের থেকে সাবধান থাকুন। ছাত্রলীগের আমলে লীগের বিরুদ্ধে মিনিমাম সংগ্রাম এরা করেনি, উল্টা অন্য ছাত্রদের ওপর নির্যাতনকে হালাল করেছে। আর এখন যাকে তাকে লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে নিজের পলিটিকাল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এই বাটপাররাই।
আমার খুব পরিষ্কার মনে আছে, ২০২৪ সালের ডামি ইলেকশনের বিরুদ্ধে আমরা ৩১ জানুয়ারি থেকে রাজু ভাস্কর্যে ডামি নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলন করছিলাম। এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তৎকালীন লীগের আড়ালে থাকা কিছু ভাইব্রাদার আন্দোলন করছিল ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের জন্য। আমরা তখন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাই আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এরা ২০২৪ নির্বাচনের পুরোটা সময় মুখ ফুটে একটা শব্দও বের করেনি। মানে কি বলব! যাদের কাছে একটা দেশে দিনেদুপুরে ভোটডাকাতির টপিক থেকে শেখ হাসিনার তৈরি প্রশাসনের আনা ট্রান্সজেন্ডার কোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এরা এখন জুলাই এর ঠিকাদারি ব্যবসা করে। এই ঠিকাদারদের হাতে জুলাইও নিরাপদ না।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জোটের মিছিলে শিবিরের হামলার অভিযোগরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জোটের মিছিলে শিবিরের হামলার অভিযোগ
এদিকে মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাসের প্রতিবাদে মশালমিছিলের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে একই সময়ে “শাহবাগবিরোধী ঐক্যর ব্যানারে” সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ছাত্রশিবিরের হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশালমিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তবে এই মিছিল ঢাবির হলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের ভুয়া-ভুয়া স্লোগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।