আর কবে দলীয়করণের বদলে মেধা যোগ্যতা, প্রতিহিংসার বদলে আইনের শাসন, ভিন্নমতের টুটি চেপে ধরা?
প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯:১৯
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র হাসপাতালে, এর মধ্যে একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলায় অন্তত ১৮০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গ্রামের সাধারণ অনেক মানুষও আহত হয়েছেন। এই মব সংঘাত সংঘর্ষ কাদের সৃষ্টি? ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলো কেন? এই যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলো এই যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে সংঘর্ষ, কয়েকদিন আগে বুয়েটের ছাত্রদের পুলিশ পিটিয়েছে এগুলো কেন? আচ্ছা হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা জনতা সাধারণ ছাত্রদের পেটাচ্ছে?
অন্তবর্তীকালীন এই সরকারসহ সব রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, আর কতোদিন এভাবে চলবে? আর কতো খারাপ হলে আমাদেন মনে হবে মব-সহিংসতার বিপরীতে শান্তি, ঘৃণার বদলে ভালোবাসা, ক্ষমতার বদলে বিনয় দরকার? আর কবে আমাদের মনে হবে দুর্নীতির বিপরীতে নীতি, অন্যায়ের বিপরীতে নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে?
আর কবে দলীয়করণের বদলে মেধা যোগ্যতা, প্রতিহিংসার বদলে আইনের শাসন, ভিন্নমতের টুটি চেপে ধরা বা ট্যাগ দেওয়ার বদলে মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতা, ব্যক্তি বা দলের অন্ধ আনুগত্যের বিপরীতে দেশ ও মানুষ, আমির বদলে আমরা হতে পারবো? আর কবে আমরা বুঝবো সবার উপরে মানুষ? আর কবে আমাদের মনে হবে দায় ও দরদের একটা সমাজ, একটা মানবিক বাংলদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে?
আচ্ছা ৫৪ বছর তো হলো। এই দেশটা আর কবে ঠিক হবে? আর কতোটা ধ্বংস হলে, আর কতো মানুষ মরলে, আর কতো অশান্তি হলে আমাদের বোধ জাগবে? দেখেন, গত একটা বছর ধরে শতবার বলেছি, লিখেছি যে সব ধরনের মব সহিংসতা বন্ধ করা জরুরী! মানুষ কেন মানুষের গায়ে হাত তুলবে, হামলা চালাবে? এগুলো যেই করুক ভয়াবহ অপরাধ।
সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবার কাছে তাই অনুরোধ করে বলি, এইসব মব, হামলা, সংঘর্ষ, ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতেই হবে। মনে রাখবেন সবার রক্ত লাল। মনে রাখবেন মব সহিংসতায় কোন কিছু গড়া যায় না, বরং শুধু ধ্বংস হয়। আচ্ছা আর কবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো? আর কবে আমাদের বোধ জাগবে? আর কবে?
শরিফুল হাসানের ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে