দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ওষুধ সংক্রান্ত পেটেন্ট অর্জন, এক ডোজেই কার্যকর এমআরএনএ টিকা
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৪২:০৬
বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক রচনা করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ এমআরএনএ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট পেয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা মহামারির সময় বিজ্ঞানী কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানার তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া গবেষণার ফলেই এই টিকা আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে টিকার সম্পূর্ণ কোডিং সিকুয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডেটাবেসে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক জার্নাল ভ্যাকসিন ও সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একই বছর বঙ্গভ্যাক্সকে তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। বানরের উপর পরিচালিত ট্রায়ালে টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।
গ্লোব বায়োটেক জানায়, ন্যানোটেকনোলজিভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই টিকা এক ডোজেই কার্যকর এবং বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের আধুনিক চিকিৎসা তৈরি সম্ভব হবে।
প্রতিষ্ঠানটির মতে, পেটেন্ট পাওয়া শুধু বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের মর্যাদা বাড়ায়নি, বরং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।