প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম: ‘নো ওয়েজ, বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি বাস্তবায়ন জরুরি
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪:৪৯
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ‘নো ওয়েজ, বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতির সঙ্গে তিনি একমত এবং এটি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ডিআরইউ ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি নালা’র সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা, অধিকার আদায় ও পেশার নিশ্চয়তার লক্ষ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রিভিউ করার দাবি করেন সাংবাদিকরা।
শফিকুল আলম বলেন, মিডিয়া লাইসেন্স নিতে হলে অনলাইনের জন্য ১০–১৫ কোটি, পত্রিকার জন্য ২০ কোটি এবং টেলিভিশনের জন্য ২০–২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি হিসেবে সাংবাদিকদের জন্য সরকারের কল্যাণ তহবিলে জমা রাখা যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘যখন হাউজ এবং সাংবাদিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকবে, তখন সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অনেক সুন্দর সুপারিশ রয়েছে। যেখানে অসঙ্গতি আছে, সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করা প্রয়োজন। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করার ধারাও থাকা উচিত।
প্রধান অতিথি বলেন, সাংবাদিকরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় পড়লে এর দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া মালিককে নিতে হবে, প্রয়োজনে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন, ‘যারা সম্পাদক হবেন তাদেরকে ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করা উচিত।’ কারণ, নেতৃত্বের জায়গা থেকে যারা পত্রিকা বা মালিক হন, তারা সাংবাদিকদের দেখেন না এবং এটি নীতিবিরুদ্ধ।
শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সার্টিফিকেশন ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, অপসাংবাদিকতা বেড়ে যাওয়া, নৈতিকতা না মেনে যেকোনো তথ্য প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়া দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্নালিস্ট কমিউনিটির সদস্য সচিব মো. মিয়া হোসেন।