দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ সমর্থনের অভিযোগে হাইকোর্টের চার বিচারপতি বেঞ্চ থেকে বিরত
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৬:৩২
বাংলাদেশের সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে বিভিন্ন অভিযোগের মুখে হাইকোর্টের চার জন বিচারপতি বর্তমানে বেঞ্চ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ সমর্থনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেন।
বিরত থাকা বিচারপতিরা হলেন-নাইমা হায়দার, শেখ হাসান আরিফ, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং এস এম মনিরুজ্জামান। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মোট ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর ৮ জনের বিষয়ে সুরাহা হয়েছে, বাকি চারজন এখনও তদন্তাধীন। এই চারজন বিচারপতি গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে প্রধান বিচারপতির আদেশে বিচার কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। পুনরুজ্জীবিত সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল তাদের বিষয়ে ২০ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করেছে, যা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত অন্যান্য বিচারপতির মধ্যে কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ অবসর নিয়েছেন। বিশেষ করে মো. আখতারুজ্জামান ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠ করেন, যা ৭ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করা হয়। এর আগে তাকে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে ২৬ আগস্ট চূড়ান্ত শুনানি দেওয়া হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, পদত্যাগ করেছেন আরও কিছু বিচারপতি যেমন শাহেদ নূরউদ্দিন, এবং হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. আমিনুল ইসলাম ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলন এখন স্থায়ী বিচারক নন। অপরদিকে, মো. আতাউর রহমান খান ও আশীষ রঞ্জন দাস ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি আরও দুই বিচারপতিকে অপসারণ করেন - খিজির হায়াত (১৮ মার্চ) ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান (২১ মে)।
গত বছরের অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল হয়। এ নির্দেশের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় জাতীয় সংসদের পরিবর্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে আসে। বর্তমানে অভিযোগ ওঠা কোনো বিচারক দায়িত্বে অযোগ্য বা গুরুতর অসদাচরণ করলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।