প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৫, ৪:১৬:৫১
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বড় শহর পর্যন্ত, টেলিমেডিসিন চিকিৎসা এনে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন।
সাশ্রয়ী, দ্রুত ও নিরাপদ চিকিৎসার এক নতুন সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি।
“অ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার দেখানো এখন আর দূরের কথা নয়, একক্লিকে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাচ্ছে রোগীর দরজায়।”ডা. ফরহাদ হাসান, টেলিমেডিসিন বিশেষজ্ঞ
লোকাল গল্প:সিলেটের গ্রামের জয়নাল হোসেন, যিনি আগে স্বাস্থ্যসেবা পেতে ঢাকার দূরবর্তী হাসপাতাল পর্যন্ত যেতেন, আজ ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
“আমার বাচ্চার জ্বর হলে আর ভেবেই হত, আজ সব কিছুই খুব সহজ হয়ে গেছে,” বললেন জয়নাল।
আধুনিক টেক ও ডাটা:
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী টেলিমেডিসিন মার্কেটের মূল্য $১৫০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশেও সরকার ও প্রাইভেট সেক্টর যৌথভাবে টেলিমেডিসিন পরিষেবা সম্প্রসারণে কাজ করছে।
এখানে ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চগতির ইন্টারনেট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ভিডিও কনসালটেশন এবং AI ভিত্তিক রোগ নির্ণয় প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিগুলো রোগীদের দ্রুত সেবা পাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের কাজ সহজ করছে।
সামাজিক প্রভাব ও প্রশ্ন:
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় চিত্র:
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতীয় উপমহাদেশে টেলিমেডিসিন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারও দ্রুত এগোচ্ছে, যেখানে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। টেলিমেডিসিন কেবল প্রযুক্তির গল্প নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় সাম্যের গল্প। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ থেকে শুরু করে শহরের ব্যস্ত পেশাজীবী সবাই পাচ্ছেন দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা। কিন্তু এই নতুন সুযোগের সঙ্গে আসে চ্যালেঞ্জওডিজিটাল বিভাজন, গোপনীয়তার ঝুঁকি, ও প্রযুক্তি গ্রহণের সীমাবদ্ধতা। দেশের স্বাস্থ্যখাতের এই ডিজিটাল বিপ্লব সফল করতে দরকার সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা। আমরা কি প্রস্তুত এই চিকিৎসার ভবিষ্যৎকে আলিঙ্গন করার জন্য? আজকের টেলিমেডিসিন সেবা আগামীকাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মেরুদণ্ড হয়ে উঠতে পারে। আপনি কী মনে করেন, টেলিমেডিসিন কি আমাদের জীবনে সত্যিই আশীর্বাদ হয়ে উঠবে?