১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা
প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:২৬:৫৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ জানিয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ও কমিশনের ধাপ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ইতোমধ্যে শিক্ষকদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ১১তম ও ১২তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি জাতীয় বেতন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে। তবে কমিশনের সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে বলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন,
“অধিদফতর থেকে যৌক্তিকতাসহ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তা পে-কমিশনে পাঠিয়েছে। হয়তো আগামী সপ্তাহে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বৈঠকের ব্যবস্থা হবে।”
শিক্ষকদের ক্ষোভ ও দাবির প্রেক্ষাপট
২০০৬ সালের পর থেকে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন চলছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তাদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও এখনও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তিন ধাপ বৈষম্য রয়ে গেছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে, আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “আমরা বৈষম্য নিরসন চাই। ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা না হলে আন্দোলন ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না।”
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি
১. এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ।
৩. ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানে উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে বিবেচনা না করা।
অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা
অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বৈঠকে জানানো হয়েছে, যেহেতু পে-কমিশন গঠিত হচ্ছে, তাই বিষয়টি কমিশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। কিন্তু কমিশনের সিদ্ধান্ত পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। তাই শিক্ষকদের প্রশ্ন—“আমরা কি বছরের পর বছর অপেক্ষা করব?”