প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৪৩:৫০
যথাসময়েই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি পাবে এবং বাস্তবায়ন হবে বলেও মনে করেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তার দল। নির্বাচনে ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা।
রোববার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবে, আমরা প্রার্থীর তালিকা চলতি মাসেই দিতে পারি। সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচনকে পেছানোর অভিসন্ধি বা দুর্ভিসন্ধি আছে কি না। এক দল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচনকে পিছিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদও আইনি ভিত্তি পাবে। তাই এই দুইটি দলসহ সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এক জায়গায় আসে। আমরা এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চাই।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনও হতে পারে, নির্বাচনের আগেও হতে পারে, তবে এটিই মূল বিষয় নয়। এটি আগে করলেও ভালো, কিন্তু সমস্যা থাকলে নির্বাচনের দিনও করা যেতে পারে। এটা মূল বিষয় নয়। আদেশ জারি করা ও বাস্তবায়ন করাটা মূল বিষয়। জুলাই সনদ তথাকথিত প্রেসিডেন্ট যিনি আছেন, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে জারি হলে এই জুলাই সনদের আইনি ও রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে না। বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে। তাই জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তরুণ এই রাজনৈতিক বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তাহলে শুধু নির্বাচনে জয় নয়, বরং রাজনীতি থেকে তাদের হারিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কারের পক্ষে কেউ না থাকলে তাদের সঙ্গে আমাদের জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের মৌলিক দাবি, যেমন– সংস্কার ও বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশকে একেবারে বের করে আনা, বৈদেশিক আধিপত্যবাদ থেকে বের করে আনা। এই দাবিগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি কেউ থাকলে আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ হতে হয় বা সমঝোতায় যেতে হয়, সেটি তখন আমরা বিবেচনায় রাখব। দরজা আমাদের খোলা আছে। কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।